সাতক্ষীরায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চিংড়ি রফতানিতে আয় হয়েছে ৭৭০ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট:
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাতক্ষীরায় গলদা চিংড়ি চাষ রফতানি বাজারে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। চলতি মৌসুমে এ জেলা উৎপাদিত গলদা চিংড়িতে ৭৭০ কোটি টাকা রফতানি আয় হয়েছে। একইসঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে গত মৌসুমের তুলনায় এক হাজার টন। আগামীতে রফতানি ও উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়িরা।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে জেলায় বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি মাছ চাষ করা হয়। এসব চিংড়ি হচ্ছে- বাগদা, গলদা, হরিণা, চাকা ও চামনি। তবে, এ জেলায় গলদা চিংড়ি চাষে চাষিদের আগ্রহ বেশি। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও রয়েছে গলদা চিংড়ির ব্যাপক চাহিদা। চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর পরিমাণ ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ হয়, যা গত মৌসুমের তুলনায় দুই হাজার হেক্টর বেশি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের গলদা চিংড়িচাষি গোলাম মোন্তফা জানান, তিনি এক দশক ধরে মিঠাপানির সাদা মাছের পাশাপাশি গলদা চিংড়ি উৎপাদন করেন। চলতি মৌসুমে ৩০ বিঘা জমির ঘেরে গলদা উৎপাদন করেন। জমির লিজ, রেণু পোনা ক্রয়, খাদ্য ও শ্রমিকের মজুরির টাকা উঠিয়েও ৮ লাখ টাকা লাভ হয়েছে তার।

বাংলাদেশ চিংড়িচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ঘের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাবলা জানান, রফতানিতে বাগদার পাশাপাশি গলদা চিংড়িতেও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে সাতক্ষীরায়। তবে গলদার রেণু পোনা সংগ্রহে অনেক জটিলতা রয়েছে। গলদা উৎপাদন বাড়াতে হলে এর রেণু পোনা উৎপাদনে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর পরিমাণ ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ হয়েছে, যা গত মৌসুমের তুলনায় দুই হাজার হেক্টর বেশি। এ বছর গলদা উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার টন। যার আনুমানিক রফতানি বাজারমূল্য ৭৭০ কোটি টাকা। গত মৌসুমে জেলায় গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয় ১০ হাজার টন। সেই তুলনায় চলতি মৌসুমে গলদা চিংড়ি উৎপাদন বেড়েছে এক হাজার টন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)