দেবহাটায় ভূমিহীন জনপদে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Post Views:
২৪২
দেবহাটা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় ভূমিহীন অধ্যুষিত জনপদ ঢেপুখালিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা ভূমিদস্যু রুহুল আমিন গাজী সহ আটককৃত মোট ১৬ জনকে আসামী করে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢেপুখালি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব ঈমান আলী গাজীর স্ত্রী সালেহা খাতুন বাদি হয়ে দেবহাটায় থানায় মামলাটি (নং-০৮(১)২৪) দায়ের করেন।
মামলাটিতে সশস্ত্র এ হামলার ঘটনার মুলহোতা বর্তমানে উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অস্ত্র, চাঁদাবাজি, জমিদখল সহ অন্তত ডজনখানেক মামলার আসামী কালীগঞ্জের সন্যাসির চক গ্রামের মৃত রূপচাঁদ গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু রুহুল আমিন গাজী (৬৫) কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে তানভীর হোসেন ওরফে সজিব (২১), স্ত্রী তানিয়া বেগম (৪০), কালীগঞ্জের ইন্দ্রনগর গ্রামের মৃত ইছা শেখের ছেলে হোসেন আলী (৪০), দক্ষিণ পারুলিয়া দিঘিরপাড় এলাকার নূর ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন (১৯), ইন্দ্রনগরের হোসেন আলী শেখের ছেলে রায়হান শেখ (১৯), মাঝ পারুলিয়ার আব্দুল খালেকের ছেলে মোমিন হোসেন (২৩), কালীগঞ্জের সোনাতলা গ্রামের মান্দার গাজীর ছেলে মনসুর গাজী (৬৮), উত্তর সখিপুরের নেছার আলীর ছেলে সজিব হোসেন (১৯), ধোপাডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তৈয়েবুর রহমান (১৯), মাঝ সখিপুরের আজহারুল ইসলামের ছেলে তাজমির হোসেন (২১), উত্তর সখিপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিব হোসেন (১৯), মাঝ সখিপুরের রবিউল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন (২১), কালীগঞ্চের সোনাতলা গ্রামের মুনসুরের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৫৫), ইন্দ্রনগরের আবুল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৪৮), এবং দেবহাটার কালাবাড়িয়া গ্রামের রায়হান হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (১৯)।
উত্তেজিত ভূমিহীনরা গণধোলাই এসব আসামীদের পুলিশে সোপর্দ করলে রাতে দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে ৯জন বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বাকি ৭জন আসামীকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে দেবহাটা থানা পুলিশ।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোররাতে অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভূমিদস্যু বাহিনী প্রধান রুহুল আমিন, তার স্ত্রী তানিয়া বেগম ও ছেলে তানভীর ওরফে সজিবের নেতৃত্বে ঘুমন্ত ভূমিহীন জনপদে সংঘবদ্ধ হামলা চালায় তারা। এসব ভূমিদস্যুদের ছোড়া গুলি ও পরপর কয়েকটি বিষ্ফোরনে বিকট শব্দে মুহুর্তেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভূমিহীন জনপদে।
একপর্যায়ে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভূমিহীনরা। কিন্তু ভূমিদস্যুদের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকায় পুলিশ পৌঁছানের আগেই ঐক্যবদ্ধভাবে চারপাশ থেকে এসব ভূমিদস্যুদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন ভূমিহীন জনপদের বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পরে দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদের নের্তৃত্বে দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখা ভূমিদস্যু বাহিনী প্রধান রুহুল আমিন সহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ১৬জনকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসি।
সেসময় ঘটনাস্থল সংলগ্ন ভূমিদস্যু রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরী একটি পাইপগান সাদৃশ্য অস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো রাম দা, কুড়াল ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনার পর থেকে চরম আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই ভূমিহীন জনপদের বাসিন্দাদের মাঝে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে গ্রেপ্তারকৃত এসব অস্ত্রধারী ভূমিদস্যুদের দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢেপুখালি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব ঈমান আলী গাজীর স্ত্রী সালেহা খাতুন বাদি হয়ে দেবহাটায় থানায় মামলাটি (নং-০৮(১)২৪) দায়ের করেন।
মামলাটিতে সশস্ত্র এ হামলার ঘটনার মুলহোতা বর্তমানে উপজেলার কালাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অস্ত্র, চাঁদাবাজি, জমিদখল সহ অন্তত ডজনখানেক মামলার আসামী কালীগঞ্জের সন্যাসির চক গ্রামের মৃত রূপচাঁদ গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু রুহুল আমিন গাজী (৬৫) কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে তানভীর হোসেন ওরফে সজিব (২১), স্ত্রী তানিয়া বেগম (৪০), কালীগঞ্জের ইন্দ্রনগর গ্রামের মৃত ইছা শেখের ছেলে হোসেন আলী (৪০), দক্ষিণ পারুলিয়া দিঘিরপাড় এলাকার নূর ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন (১৯), ইন্দ্রনগরের হোসেন আলী শেখের ছেলে রায়হান শেখ (১৯), মাঝ পারুলিয়ার আব্দুল খালেকের ছেলে মোমিন হোসেন (২৩), কালীগঞ্জের সোনাতলা গ্রামের মান্দার গাজীর ছেলে মনসুর গাজী (৬৮), উত্তর সখিপুরের নেছার আলীর ছেলে সজিব হোসেন (১৯), ধোপাডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তৈয়েবুর রহমান (১৯), মাঝ সখিপুরের আজহারুল ইসলামের ছেলে তাজমির হোসেন (২১), উত্তর সখিপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিব হোসেন (১৯), মাঝ সখিপুরের রবিউল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন (২১), কালীগঞ্চের সোনাতলা গ্রামের মুনসুরের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৫৫), ইন্দ্রনগরের আবুল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৪৮), এবং দেবহাটার কালাবাড়িয়া গ্রামের রায়হান হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (১৯)।
উত্তেজিত ভূমিহীনরা গণধোলাই এসব আসামীদের পুলিশে সোপর্দ করলে রাতে দায়েরকৃত মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে ৯জন বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বাকি ৭জন আসামীকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে দেবহাটা থানা পুলিশ।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোররাতে অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভূমিদস্যু বাহিনী প্রধান রুহুল আমিন, তার স্ত্রী তানিয়া বেগম ও ছেলে তানভীর ওরফে সজিবের নেতৃত্বে ঘুমন্ত ভূমিহীন জনপদে সংঘবদ্ধ হামলা চালায় তারা। এসব ভূমিদস্যুদের ছোড়া গুলি ও পরপর কয়েকটি বিষ্ফোরনে বিকট শব্দে মুহুর্তেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভূমিহীন জনপদে।
একপর্যায়ে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভূমিহীনরা। কিন্তু ভূমিদস্যুদের দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকায় পুলিশ পৌঁছানের আগেই ঐক্যবদ্ধভাবে চারপাশ থেকে এসব ভূমিদস্যুদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন ভূমিহীন জনপদের বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। পরে দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদের নের্তৃত্বে দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখা ভূমিদস্যু বাহিনী প্রধান রুহুল আমিন সহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ১৬জনকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসি।
সেসময় ঘটনাস্থল সংলগ্ন ভূমিদস্যু রুহুল আমিনের বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরী একটি পাইপগান সাদৃশ্য অস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো রাম দা, কুড়াল ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনার পর থেকে চরম আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই ভূমিহীন জনপদের বাসিন্দাদের মাঝে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে গ্রেপ্তারকৃত এসব অস্ত্রধারী ভূমিদস্যুদের দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।