বোনের পর চলে গেল ভাই , হাসপাতালে মা

ডেস্ক রিপোট: কয়েলের আগুনে পুড়ে মায়ের সঙ্গে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চার পা কেটে ফেলার পরও বাঁচানো গেলো না শিশু জাফরা (৫) ও আট মাস বয়সী মায়ানকে। বড় বোন জাফরার মৃত্যুর চারদিন পর শিশু মায়ানেরও মৃত্য হয়েছে। একই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মা মনি আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায়।শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ৮ মাস বয়সী মায়ান। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিবাগত রাতে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাফরা (৫)।নিহত শিশুদের বাবার নাম রবিন মিয়া। তিনি ভালুকা খাদ্যগুদামে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। চাকরির সুবাদে তারা স্বপরিবারে ভালুকা পৌর শহরের আবুল ফজল সাত্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের বাড়ি জেলার গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী গ্রামে।

জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে খাদ্যগুদামে ডিউটিতে চলে যান রবিন মিয়া। আর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে মনি আক্তার কয়েল জ্বালিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের দিকে ঘর থেকে মনি আক্তারের চিৎকার শুনে ও ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহত অবস্থায় দুই শিশুসহ তিনজনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।সেখানে নিয়ে পরদিন রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে জাফরা ও মায়ানের চার পা কেটে ফেলা হয়। পা কেটে ফেলার পর তারা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গত ২৪ ডিসেম্বর (রোববার) দিবাগত রাতে জাফরা মারা যায়। এর চারদিন পর শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৮ মাসের শিশু মায়ানও মারা যায়। তাদের মা মনি আক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত শিশুদের বাবা রবিন মিয়া বলেন, একে একে আমার দুই সন্তান আমাকে ছেড়ো চলে গেলো। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কয়েলের আগুনে দগ্ধ দুই শিশু মারা গেছে। ওই দুই শিশুর মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)