বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক,স্বামী-সন্তান ছেড়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী

ডেস্ক নিউজ:
সংসারে রয়েছে স্বামী ও সন্তান। পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাদে প্রায় চার বছর আগে সহকর্মী ফারুক মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এরপর দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর ধরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তারা। এমনকি বিয়ের আশ্বাসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করছিলেন তারা। একপর্যায়ে প্রেমিকের কথায় স্বামীকে তালাক দেন। কিন্তু এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ফারুক। ফলে বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ফারুকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই তরুণী। তবে প্রেমিকাকে দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন ফারুক।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই গ্রামের অবু বক্করের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ফারুকের বসতঘরের বিছানায় বসে রয়েছেন ওই নারী। ওই তরুণীর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাইসকা ইউনিয়নের ধরচন্দ্রবাড়ি এলাকায়।

ওই তরুণী বলেন, ফারুক আমাকে বলেছে স্বামী-সন্তান ছেড়ে আসলে আমাকে বিয়ে করবে। আমি তার কথায় সব করেছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এর আগেও আরো বেশ কয়েকবার ওই তরুণীকে ফারুক তাদের বাড়ি আসে। আমরা জানতে চাইলে ফারুক জানায় এটা তার প্রেমিকা, বিয়ে ঠিকঠাক। বাবা-মাকে দেখানোর জন্যই নিয়ে আসি। বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর থেকে তরুণীকে শারীরিক ও অমানুষিকভাবে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে ফারুকের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কথা হয় তার মা মোছা. সেলিনা আক্তারের সঙ্গে। সেলিনা বলেন, আমরা কোনো নির্যাতন করছি না। আমার ছেলে কোথায় আছে বলতে পারি না। এই মেয়ে অবিবাহিত হলে চিন্তা করে দেখতাম, বিবাহিত মেয়েকে জীবনেও আমার ঘরের বউ করব না। তবে এর আগেও ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর বাড়িতে আসার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, ওই মেয়ে আমার পরিষদে এসেছিল। সবকিছু শোনার পর এবং মেয়ের কাছ থেকে কিছু প্রমাণ দেখার পর ছেলের অভিভাবকে উভয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু বিবাহিত হওয়ায় এই শর্তে তারা রাজি হয়নি। পরে আমি ওই মেয়েকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)