সাতক্ষীরায় সরকারি গাছ বিক্রি করে তোলা হলো নির্বাচনী খরচ

রঘুনাথ খাঁ: নির্বাচন খরচ যোগাতে সরকারি রাস্তার পাশে মেহগনি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১১টার পর সাতক্ষীরারর ত্রিশ মাইল- সরসকাটি সড়কের ধানদিয়া চৌরাস্তা মোড়ে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।রবিবার সকালে সরেজমিনে কলারোয়ার ধানদিয়া চৌরাস্তার মোড়ে গেলে দেখা গেছে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমানের ভাড়া করা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে নির্বাচনী অফিসের গেট করা হচ্ছে। সামনেই রাস্তার পাশের সরকারি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতে গাছটির কোন চিহ্ন না বোঝা যায় সেজন্য বিচালি পুড়িয়ে গাছের গুড়ির উপর ফেলে রাখা হয়েছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জানান, আগামি সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীর খরচ বহন করার ক্ষমতা নিয়ে প্রস্ন উঠলে নিজেদের পকেট থেকে করার আহবান জানান কলারোয়ার শীর্ষ এক নেতা । বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজার কমিটিরা সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমান। তিনি খরচ যোগাতে তার অফিসের সামনে ৩০ হাজার টাকারও বেশি একটি মেহগনি গাছসহ লক্ষাধিক টাকার আরো তিনটি সরকারি গাছ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ি গাছগুলি একজন কাঠ ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করলে তিনি মেহগনি গাছটি কেটে নিয়ে যান।

ধানদিয়া চৌরাস্তা মোড়ের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে রাস্তার উপর থাকা চারটি গাছ দুটি মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য দুই বছর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের গাছসহ চারটি গাছ কাটতে বাধা দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বাজার কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমানসহ কয়েকজন। অথচ শনিবার রাত ১১টার পর আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের মেহগনি গাছটি অফিস খোলা থাকাকালিন সময়ে করাত দিয়ে কেটে১৪/১৫ জন একটি মিনি ট্রাকে করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজার কমিটির সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শনিবার রাত ১১টার আগে তিনি বাসায় চলে যাওয়ার কারণে গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। রবিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি অফিসে এসে গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছেন। দলীয় নির্বাচনী খরচ যোগাতে অফিসের সামনের গাছসহ অন্য আরো তিনটি গাছ কেঠে তিনি বিক্রি করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু’ বছর আগে মরে যাওয়া অফিসের সামনের গাছটির ডাল কে বা কাহারা কেটে নিয়ে যায়। গাছটির দাম হয়তো ৫০০ টাকা হতে পারে। তবে অফিস খোলা থাকাকালিন সময়ে কে বা কাহারা গাছটি কেটেছে তা নিয়ে তিনি খোঁজ খবর নেবেন।

জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোকাররাম হোসেন জানান, রবিবার সরকারি ছুটি থাকায় তিনি কিছু বলতে পারছেন না। মঙ্গলবার অফিসের পরঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে  খোঁজ নেবেন।

 

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)