ইউক্রেন বাহিনী আরো ৫ লাখ সেনা চায়: জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অর্থ সহায়তা ও গোলাবারুদের অভাবে রাশিয়ার বিপক্ষে সামরিক অপারেশন কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। এর মধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে আরো ৫ লাখ সেনা সদস্য চেয়েছে দেশটি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৫ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। কমান্ডাররা আরো সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ সেনা সদস্য চান। রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধের দুই বছর পূর্তির প্রাক্কালে মঙ্গলবার কিয়েভে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা প্রস্তাব দিয়েছেন তারা আরো সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ মানুষকে সেনা কার্যক্রমে যুক্ত করতে চান।

এদিকে রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে সহায়তা বন্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা তহবিলের ওপর আনা বিলের অর্থ ডিসেম্বরের পর শেষ হয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। বাইডেন প্রশাসন এই মাসে ইউক্রেনে আরো একটি সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু মাস শেষ হয়ে গেলে এর কোনোটাই আর কাজে আসবে না।

পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল গ্যারন গার্নের মতে, সরাসরি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য পেন্টাগনের কাছে এখনও ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রয়েছে। তবে মাস শেষে তা প্রায় শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে অর্থ সহায়তা ও গোলাবারুদের অভাবে সামরিক অপারেশন কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেকসান্দ্র তারনাভস্কি জানান, সামরিক বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে এবং শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান না হলে কিয়েভের সামনে ‘বিরাট বিপদ’ আসবে।

গত দুই বছরের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য অর্জন করতে না পারায় ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ও এর জেরে সহায়তার প্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)