ভেটকি খেতে দারুণ, উপকারও অনেক

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারাবছরই কম-বেশি বাজারে পাওয়া যায় ভেটকি মাছ। এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এই মাছে নানা পদও রান্না হয় বাড়িতে। কিন্তু এই মাছ খেলে কী হয়? ভেটকি মাছে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলো শরীরের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে। কাদের শরীরে এই মাছের কেমন প্রভাব পড়ে, সেটি মাছ খাওয়ার আগেই জেনে নিতে পারেন। তার আগে দেখে নেয়া যাক, এই মাছে কী কী উপাদান রয়েছে।

ভেটকি মাছে উন্নতমানের প্রোটিন, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ভেটকিতে ভিটামিন এ, বি এবং ডি, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, জিংক, লৌহ, পটাসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম এবং সিলেনিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। সব মিলিয়ে এই মাছ বিভিন্ন উপাদানে ঠাসা। এবার দেখে নেওয়া যাক, যিনি এই মাছ খাচ্ছেন, তাঁর শরীরে এর প্রভাব।

প্রোটিন, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে যাদের বয়স বেশির দিকে, তারা এই মাছ খেলে উপকার পেতে পারেন। এই মাছের ভিটামিন এ, বি এবং ডি, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, জিংক, লৌহ, পটাসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম এবং সিলেনিয়াম শরীর গঠন ও বৃদ্ধির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে বয়স্কদের পাশাপাশি কম বয়সীদের জন্যও ভেটকি হয়ে উঠতে পারে দারুণ একটি মাছ।

একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির সারা দিনে গড়পড়তা ৪৬ থেকে ৫৬ গ্রাম প্রোটিন দরকার হয়। ভেটকিমাছের ৬ আউন্স ফিলেতে প্রোটিন আছে ৩৫ গ্রাম। ফলে একজন পূর্ণ বয়স্কর পেশির গঠন এবং শক্তির আধার হিসেবে এই মাছ দারুণ কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভাণ্ডার ভেটকি মাছ। এই উপাদানটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার এবং অন্যান্য মস্তিষ্কের অসুখের আশঙ্কা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি একটি দারুণ গুণ।

ভেটকি মাছে ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় পদার্থের পরিমাণ অত্যন্ত কম। স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। কোলেস্টেরলের পরিমাণ মাত্র ৭০ মিলিগ্রাম। তাই ব্যালান্সড ডায়েটে রাখতেই পারেন এই মাছ। ফ্যাটজাতীয় উপাদান অত্যন্ত কম বলে যারা রোগা হওয়ার জন্য ডায়েটিং করছেন, তাঁরা নিয়মিত খেতে পারেন এই মাছ। এছাড়াও এই মাছের কিছু উপাদান দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং গাঁটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তাই সব মিলিয়ে ভেটকিকে মহৌষধি হিসাবেও ধরা হয়। ফলে বাড়িতে নিয়মিতই খেতে পারেন এই মাছটি।

তবে মনে রাখবেন, সব খাবার বা সব মাছ সকলের জন্য এক রকম ভাবে কাজ করে না। তাই কোনও সমস্যায় সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। এবং কোন মাছ আপনার খাওয়া উচিত বা খাওয়া উচিত নয়— সেটি চিকিৎসকের থেকে ভালো করে জেনে নিয়ে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)