ডুমুরিয়ার আধারমানিক ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ : বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের যাতয়াতের ভোগান্তি চরমে
আব্দুর রশিদ:
একটি রাস্তা ও একটি ব্রীজের জন্য ডুমুরিয়ার ৮ গ্রামের সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আটলিয়া ইউনিয়নের আধারমানিক রোডের পাকা রাস্তার কাজ শুধু হাত বদল করে কেটে গেল ২ বছর। ৮ গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি পরিত্যাক্ত অবস্হায় পড়ে আছে। অকেজো একটি ব্রীজ নতুন করার জন্য পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অত্র এলাকার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ একেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র / ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতয়াতের চরম ভোগান্তি বেড়েছে। এব্যাপারে স্হানীয় জনগণ আমাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার এই রাস্তা খুড়ে ফেলে ঠিকাদার চলে গেছে। রাস্তাটি উচুঁ না অনেক নিচু কারায় বর্ষা মৌসুমে ২/৩ ফুট পানির নীচে তলিয়ে যায়। এর পরেও আধার মানিক ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় অত্র এলাকার ২০ হাজার অধিক লোকের চরম ভোগান্তি বেড়েছে। আমরা দ্রুত চায় এই ব্রীজটি নির্মাণ করে এলাকার জনদূর্ভোগ ও ভোগান্তি থেকে রেহাই চায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রায় বছর খানেক আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই ব্রিজটি ভেংগে নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করে। কিন্তু পুরানো ব্রিজটি ভেংগে ফেলে কিছুদিন কাজ করার পরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। এই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার জনগন চরম দূর্ভোগের শিকার হয়। যেহেতু এলাকার জনগনের একমাএ চলাচলের রাস্তাটি অকেজো হয়ে থাকায় এ,কে,বি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিশুরা খুবই কষ্ট করে স্কুলে যাতায়াত করে। তাছাডা এই রাস্তাটি আধারমানিক,খলসিবুনিয়া,কাটবুনিয়া বৈঠাহারা গ্রামের হাজার হাজার লোক প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এই ব্রিজটি অতিসত্বর নতুন করে স্হাপনে বিলম্ব হলে এলাকার জনগনের দূর্ভোগ’র সীমা থাকবে না। এই ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন নাম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ডুমুরিয়া উপজেলা পি,আই,ও আশরাফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে দ্রুত কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হবে।
Please follow and like us: