বুধহাটায় দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে লাঠিচার্জের অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুরে প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার শ্বেতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি নিয়মনীতিকে অবজ্ঞা করে শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের ঘটনায় অভিভাবক মহল তীব্র নিন্দা ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।
সরেজমিন গেলে জানাযায়, প্রধান শিক্ষক রুক্ষ মেজাজের, অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যাবহার করে থাকেন, শিক্ষার্থীদের উপর বেতে ব্যবহার নিত্যদিনের ঘটনা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে বেত সংরক্ষণ করে রাখেন। কমিটির সদস্যসহ অভিভাবক ও কাউকে তিনি গুরুত্ব দেননা তিনি। গত মঙ্গলবার তিনি দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্র আসিফ হোসেনকে বেত্রাঘাতে আহত করেন। তার আচরনে শিক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্থ থাকে। সহসা কোন অভিভাবক স্কুলমুখো হতে চাননা।
প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরী জানান, রাকিবুল ইসলাম ও তার সহপাঠী আসিফ হোসেনের মধ্যে সামনের বেঞ্চে বসা নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আসিফ হোসেনের দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাসনের জন্য লাঠি দিয়ে দুইটি বেত্রাঘাত করা হয়।
ভুক্তভোগী দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসিফ হোসেন তার ক্লাস রুমে সকলের সামনে বিনা দোষে তাকে প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরী বেত্রাঘাত করেছেন বলে স্বীকার করে। শিক্ষার্থী আসিফ হোসেনের মা মরিয়ম খাতুন এ প্রতিবেদককে বলেন আমার ছেলে একজন মেধাবী ছাত্র। সেই হিসাবে সে প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুলে পৌঁছে সামনের বেঞ্চে বসে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরী অপর শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামের পরিবারের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা গ্রহণের ফলে রাকিবুলকে সামনের বেঞ্চে ও তার ছেলে আসিফ হোসেনকে অন্যত্র বসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু আসিফ হোসেন আপত্তি জানালে প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেত্রাঘাত করেন।
স্কুল লাগোয়া স্থানীয়রা জানান সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের উপর লাঠি বা বেত ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রধান শিক্ষক সুমিতা চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উপর বেত্রাঘাত অব্যাহত রেখেছেন। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তাকে সাবধান করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেন না। সরেজমিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গমন করলে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারের পাশেই প্রমাণস্বরূপ দেখা মেলে একটি লাঠি বা বেত।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রকিব জানান, বেত/লাঠির ব্যবহার, ভয় দেখানো, স্কুলে বেত/লাঠি রাখা অপরাধ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে বেতের ব্যবহার, প্রদর্শণ, ভয় দেখানো ও সংরক্ষণ করা অপরাধ। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।