যেভাবে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলংকা
অনলাইন ডেস্ক:
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তবে হাইব্রিড মডেলের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে শ্রীলংকাও। এমনকি টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ অধিকাংশ ম্যাচই শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা লংকানদের জন্য বাড়তি পাওনা, সেটি বলাই যায়।
ঘরের মাঠের সুবিধা পেলেও এশিয়া কাপের আগমুহূর্তে দুঃসংবাদ পায় শ্রীলংকা। ইনজুরিতে আগেই ছিটকে যান লংকান তারকা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এরপর চোটের থাবায় পড়েন তিন লংকান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা, দুশমন্থ চামিরা ও লাহিরু কুমারা। দলের নিয়মিত চার পারফর্মারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে টুর্নামেন্টের সহ আয়োজক দেশটি।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১২ আগস্ট ছিল স্কোয়াড ঘোষণার শেষ দিন। তবে ইনজুরি জর্জরিত লংকানরা দল ঘোষণা করে টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে অর্থাৎ ২৯ আগস্ট। আর ৩০ আগস্টে মুলতানে পর্দা ওঠে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের।
শ্রীলংকা যে স্কোয়াড দিয়েছে সেখানেও ছিল চমক। তারুণ্যনির্ভর দল সাজিয়ে আসরের অন্য সবাইকে খানিকটা চমকে দেন লংকান কোচ ক্রিস সিলভারউড। সে সময় অবশ্য শ্রীলংকার এই দলকে গোনাতেই ধরতে চাননি। কিন্তু সেই অপরিপক্ক দলই ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে গেছে।
সবশেষ কয়েকটি আসরে এশিয়া কাপের সূচি এমনভাবে ফেলা হয়েছে, যাতে ভারত-পাকিস্তান একাধিকবার মুখোমুখি হতে পারে। চলতি আসরেও সুযোগ ছিল তিনবার মুখোমুখি হওয়ার। গ্রুপপর্ব এবং সুপার ফোরের পর ভারত ফাইনালে উঠলেও লংকানদের কাছে হেরে ছিটকে গেছে পাকিস্তান। ক্রীড়াবোদ্ধাদের তেমন সমীহ না পাওয়া শ্রীলংকা টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
হাইব্রিড মডেলে শ্রীলংকার যাত্রা
ঘরের মাঠ কলম্বোতে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে ওঠে শ্রীলংকা। এরপর টাইগারদের ২১ রানে হারিয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু করে শ্রীলংকা। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করেছিল স্বাগতিক দলটি। এরপর বাংলাদেশকে ২৩৬ রানেই আটকে দেয় লংকান বোলাররা। পরের ম্যাচে ভারতের কাছে হারে লংকানরা। তবে গতকাল পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দাসুন শানাকার দল।
তরুণদের নিয়েই বাজিমাত শ্রীলংকার
ভারত ফাইনাল নিশ্চিত করায় এবং বাংলাদেশ টানা দুই হারে ছিটকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকার ম্যাচটি ছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। বৃষ্টিবিঘ্নিত নাটকীয় এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটে লংকানরা।
হার না মানা মানসিকতাতেই বাজিমাত লংকানদের
পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের একাদশের অন্তত সাতজন পঞ্চাশেরও কম ওয়ানডে খেলেছেন। ৫০ ওয়ানডের বেশি খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল অধিনায়ক দাসুন শানাকা আর ধনঞ্জয় ডি সিলভার। এছাড়া একশ’র বেশি ওয়ানডে খেলেছেন এমন ক্রিকেটার ছিলেন দুজন-কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা।
শ্রীলংকা দলে নামের ভার নাই, অভিজ্ঞতাও বেশি না। তবে কার্যকরী ও বুদ্ধিমান ক্রিকেটার আছে। এছাড়া আছে দলের জন্য উজাড় করে খেলার মানসিকতা। এই যেমন মাহেশ থিকসানার কথাই ধরা যাক-গতকালই জানা গিয়েছিল চোটে ভুগছেন তিনি। তবুও চোট যন্ত্রণা নিয়েই দলের জন্য লড়ে গেছেন।