ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরো জোরদারে শেখ হাসিনা-মোদির ঐকমত্য
নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
শুক্রবার দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। উভয়ে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হন।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠক হয়।
ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এই সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মোদি আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের ওপরও জোর দিয়েছেন।
মোমেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের জন্য তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে, নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বিকেলে দিল্লি পৌঁছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে তার সফল রাষ্ট্রীয় সফরের পর দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।বৈঠকে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা জানান।
মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ায় ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীই রেল ও সড়ক যোগাযোগসহ ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টা এবং কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে নরেন্দ্র মোদির সহযোগিতাও কামনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই ফলপ্রসূ ও উন্মুক্ত আলোচনা দুই পক্ষের মধ্যে অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর নিষ্পত্তিকে ত্বরান্বিত করবে এবং উভয় দেশের জনগণ এর দ্বারা উপকৃত হবে।
তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে বলেন, এটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেনর, এই সময় উভয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং উভয় সরকারপ্রধান একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথাও স্মরণ করেন। ‘জি-২০ নেতাদের’ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্বের অনুন্নত অংশের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।