সাতক্ষীরায় শহিদ জায়েদার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াত নেতাদের স্মরণ অনুষ্ঠান
সাতক্ষীরার ভূমিহীন আন্দোলনের শহিদ জায়েদার ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং প্রয়াত নেতাদের স্মরণ অনুষ্ঠান শনিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা বিসিডিএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন ও বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ।
বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেএসডি নেতা শুধাংশু শেখর সরকার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পিপি এড. ওসমান গনি, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ সেবা সম্পাদক এড. আজাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, এনজিও ব্যক্তিত্ব মহুয়া মঞ্জুরী খোদা, শহিদ জায়েদার পুত্র ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পালিত পুত্র আরমান এরশাদ আলম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, নদী ও পরিবশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওসার আলী, জাগ্রত যুব সংঘের সভাপতি ফারুখ হোসেন, দেবহাটার ভূমিহীন নেতা বাইজিদ হোসেন, কালিগঞ্জের আব্দুর রহিম, শহিদ জায়েদানগরের সিরাজুল ইসলাম, এবাদুল ইসলাম, শওকত আলী সরদার, ভবোতোষ কুমার বৈদ্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ। পরিচালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো.নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলে তিনি অবিসংবাদিত নেতা। শহীদ জায়েদা বুকের তাজা রক্তদিয়ে ভূমিহীনদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন বলে আন্দোলন তরান্বিত হয়েছিলো। এই আন্দোলন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। এই ধরনের কোন আন্দোলনে সারা বাংলাদেশকে এইভাবে আন্দোলিত করেছে কি না আমার জানা নেই। তিনি বলেন, তুমুল আন্দোলনের ফলে সকল রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরায় আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এসেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, জাতীয় পাটির হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদসহ অনেকে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেবহাটার দেবীশহর ফুটবল মাঠে এসেছিলেন এবং সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্ঠন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মো. নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ভূমিহীন বান্ধব বর্তমান সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের জন্য ভূমির ব্যবস্থা করেছেন। গৃহহীনদের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এদেশে কেউ ভূমিহীন এবং গৃহহীন থাকবে না। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দেবহাটা-কালিগঞ্জের ভূমিহীন জনপদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং স্থানীয় মসজিদের উন্নয়নকল্পে ২ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, ভূমিহীন আন্দোলনের শহীদ জায়েদাসহ সকল প্রয়াত নেতাদের সাতক্ষীরাবাসী আজীবন স্মরণ করবে।
অনুষ্টানের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ভূমিহীন কৃষক ক্ষেতমজুরদের সবচেয়ে বড় আন্দোলনের একটি সাতক্ষীরার ভূমিহীন আন্দোলন। এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়ে ভূমিহীন কৃষকদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তারা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সাতক্ষীরাবাসী অনন্তকাল ধরে তাদেরকে স্মরণে রাখবে। অনুষ্টানে সাতক্ষীরার দেবহাটা-কালিগঞ্জের ভূমিহীন আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রয়াত এড. আব্দুর রহিম, সাইফুৃল্লাহ লষ্কর, এড. ফিরোজ আহমেদ, আশরাফ উল আলম টুটু, কুদরত-ই-খোদা, কাজী কামাল ছট্টু, চেয়ারম্যান আব্দুল গনি, মো. আনিসুর রহিম, কাজী সাইদুর রহমান, আব্দুর রশিদ প্রমুখদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।