শ্যামনগরে নিষিদ্ধ মৌসুমে চলছে কাকড়া ও বাগদা গলদা রেনু আহরণ”সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব 

আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগর:
শ্যামনগরে নিষিদ্ধ মৌসুমে চলছে কাকড়া ও বাগদা গলদা রেনু আহরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব।জুন জুলাই আগস্ট এ তিন মাস সুন্দরবনে কাকড়া বাগদা,গলদার রেণু সহ সমস্ত মৎস্য আহরণ ও ভ্রমণ সরকারী ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ একটি চিহ্নিত দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বন বিভাগ,উপজেলা মৎস্য অফিস,স্থানীয় ও পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাকড়া বাগদা,গলদার রেণু প্রতিদিন ছোট পিকআপ ও মোটর সাইকেলে নীলডুমুর,ভেটখালী ও হরিনগর থেকে পারুলিয়া সাতক্ষীরা খুলনা ও ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। রেণু ও কাকড়া,আয়রনকারীদের জিজ্ঞাসা করে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
 এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসের ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন থানায় কোন ক্যাশিয়ার নেই বা থানার সাথে কোন অবৈধ যোগাযোগ নেই। এ ধরনের কাজে শ্যামনগর থানার পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাতক্ষীরা রেঞ্জে সহকারী বন সংরক্ষক একে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি মজুমদারের সাথে  মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিষোকের কথা অস্বীকার করেন এবং নিষিদ্ধ মৎস্য আহনের সময় কয়েক বার অভিযান করেছেন বলে দাবি করলেও কোন পত্রিকায় নিউজ টা দেখা মেলেনি। উপকূলীয় এলাকার একটি সূত্র জানান, বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিস সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনি স্টেশন থাকায়, রেঞ্জ কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম স্থানীয় একটি দালাল সেন্টিকেট তৈরি করে তাদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে কাকড়া  বাগদা ও গলদার রেনু আরোহন অব্যাহত রেখেছে। তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। শ্যামনগরের সুদি মহল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)