মার্কিন কংগ্রেসে ডেট সিলিং বিল পাস

অনলাইন ডেস্ক:

আমেরিকার অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য এই বিল অপরিহার্য বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হয়েছে ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি বিল। মুখের কথায় একেই ডেট সিলিং বিল বলা হচ্ছে। এই সপ্তাহেই বিলটি সিনেটে যাবে। সেখানে পাস হয়ে গেলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।

করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ পড়েছে মার্কিন অর্থনীতির ওপর। মন্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দেশ। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ডেট সিলিংয়ের প্রস্তাব আনেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে বহু আলোচনা, বহু বিতর্ক হয়েছে। বিলটিকে বাইপারটিসান করার প্রস্তাব দেন বাইডেন। অর্থাৎ, রিপাবলিকান স্পিকার ম্যাকার্থি এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট একত্রে বিলটি প্রস্তাব করেন কংগ্রেসে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিলটি পেশ করা হয় হাউস অব রিপ্রেসেনটেটিভে। আশঙ্কা ছিল, এই বিল নিয়ে প্রবল বিরোধিতা হতে পারে। কিন্তু সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি। বিপুল ভোটেই বিলটি পাস হয়েছে। বাইডেনের আশা, একইভাবে সিনেটেও বিলটি পাস হয়ে যাবে।

এই বিল পাস না হলে তীব্র অর্থ সংকটে পড়বে আমেরিকা। সেনাবাহিনী থেকে সরকারি কর্মচারী- সকলের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সোশ্যাল সিকিওরিটি চেক দেওয়া সম্ভব হতো না। শুধু ঘরে নয়, এই পরিস্থিতি তৈরি হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও তার প্রভাব পড়তো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন অর্থনীতির ওপর যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে, ফলে আন্তর্জাতিক মন্দার আশঙ্কা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণে চলছে মার্কিন অর্থনীতি। এই বিল পাস না হলে মার্কিন কোষাগার শূন্য হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই বিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধারের পরিমাণ বাড়ানোর রাস্তা তৈরি করে দিলো। অর্থাৎ, ধারের যে সর্বোচ্চ সীমা ছিল, তা বদলের সুপারিশ করল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)