আশাশুনি উপজেলা সদরের শীতলপুরে মুজিববর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের শুরুতেই অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের শীতলপুরে দরিদ্র ও ভূমিহীনদের জন্য মুজিববর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের শুরুতেই অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এখনই ব্যবস্থা গৃহীত না হলে বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে।
মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলা ও কালিগঞ্জ উপজেলাকে বিভক্তকারি গোয়ালঘেসিয়া নদীর শীতলপুরে যেয়ে দেখা গেছে ব্রীজের পাশে এক একর জমির এক পাশে ৪০ থেকে ৪৫ বছর ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস ও বাকী অংশে মাছ চাষ করে আসছেন বেলায়েত গাজীর ছেলে ভূমিহীন লুৎফর রহমান।
মোকলেছুর রহমান ও রাশেদ গাজী জানান, ইতিপূর্বে লুৎফর রহমানের নামে একসনা ইজারা দেওয়া হলেও এবার তাকে ইজারা দেওয়া হয়নি। এক সপ্তাহ ধরে লুৎফর রহমানের মাছ চাষের জমিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান স্থানীয় সামছুর রহমানের নদীর চরভরাটি জমি থেকে মেশিনের মাধ্যমে বালি তুলে পাইপের মাধ্যমে বালি ভরাটের কাজ করে যাচ্ছেন। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ওই জমি ইজারা না পেলে লুৎফরের জীবন ধারণ কঠিণ হয়ে পড়বে। তাছাড়া এক একর জমির মাথায় কালিগঞ্জের ইউসুফপুর মৌজার কিছু জমি লুৎফরের দখলে থাকলেও সেখানে বালি ভরাট করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গোয়ালঘেসিয়া নদী সরকারিভাবে খনন করা হলে ওই আশ্রয়নপ্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া যেভাবে ৫ থেকে ৬ ফুট গর্ত মাছের ঘের স্থানীয় নিন্মমানের বালি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাস না যেতেই ঘর বসে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। সিডিউলে এফএম ওয়ান বালি দেওয়ার কথা থাকলেও নদী চরে বালি তুলে পুকুর বানিয়ে সেই বালি আশ্রয়ন প্রকল্পে ব্যবহার করার বিধান নেই। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
এ ব্যপারে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমানের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে সামছুর রহমানের চরভরাটি জমি থেকে বালি তুলে গর্ত করে ওসব বালি পাইপের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে স্বীকার করেই বলেন, তাতে বালির খরচ কম হচ্ছে। এতে সামছুরের মাছ চাষে সুবিধা হবে। তবে শিডিউলে উল্লেখিত এফএম বালি ব্যবহার না করলেও ক্ষতি হবে না। লুৎফর রহমানকে এবার একসনা ইজারা না দেওয়া হলেও ২১টি ঘরের জন্য ৫৫ শতক জমি বাদ দিয়ে ঘরবাড়িসহ কিছু জমি তাকে ইজারা দেওয়া হবে।