বঙ্গবাজারে আগুন: খোলা হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সাহায্য করতে পারবেন দেশবাসী

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যার্থে দুয়েকদিনের মধ্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবাজার মার্কেট পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই সাহায্য করতে চাইছেন। এজন্য দুয়েকদিনের মধ্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য নম্বর দেয়া হবে, যাতে দেশবাসী ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে পারেন।’

সালমান এম রহমান বলেন, ‘টাকা উঠানো হলে আমরা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে একটা তালিকা করে সেগুলো বিতরণ করব।’

তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার মার্কেটে ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের একটা তালিকা করে আমরা জানতে চাইব তাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তারপর সরকার দেখবে কাকে কত সাহায্য করা যায়।

চৌকি বসিয়ে হলেও ঈদের আগে বঙ্গবাজারে অস্থায়ী ভিত্তিতে বসতে চান ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, জায়গাটি পরিষ্কার করে সেটি করা যেতে পারে।

এদিকে বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন।

তাপস বলেন, ‘কোনো দুর্যোগ হলে প্রথম কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা। সেটি মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকব। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমরা তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার পর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্তভাবে অনুদান দেবেন তিনি। যাতে করে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। সেই দিকটাই এখন আমাদের সকলের অগ্রাধিকার।’

বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও মামলার কারণে তা করা যায়নি উল্লেখ তিনি বলেন, ‘আমাদের সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে। মানবিক দিক নির্ধারণ করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাদের অনুদান দিয়ে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে বসব। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। পরে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে চার হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)