শ্যামনগরে ছাবের মিস্ত্রির অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিনিধি:
শ্যামনগর সদর মটর সাইকেল পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর বর্তমান সভাপতি মোঃ ছাবের মিস্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তার হাত থেকে বাচতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা। কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকুরী করলেও নিয়মিত অফিস করেননা। শ্যামনগরে অধিক সময় কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে অর্থ আয় করাই তার কাজ। কে এই ছাবের মিস্ত্রি কি তার পরিচয় ?
কথিত আছে পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে জীর্ণ শীর্ণ বস্ত্রে শ্যামনগরে পেটে ভাতায় লোকের বাড়িতে কাজ করতেন ছাবের। পরবর্তীতে তিনি নকিপুর বাজারে মাসুদের দোকানে স্বল্প মূল্যে মজুরীতে চাকুরী করতেন। খুবই কষ্টে জীবন চলছিল ছফিল উদ্দীন ও জামিলা খাতুনের পুত্র মোঃ ছাবের মিস্ত্রী। ৪ জুলাই ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণকারী ছাবের মিস্ত্রীর উপর নজর পড়ে নকিপুর গ্রামের ভূমিহীন নেতা মোকছেদ আলীর। মোকছেদ আলীর কাঠের দোকানে তাকে কর্মচারী নিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে তার মেয়ের সাথে ছাবের মিস্ত্রীর বিয়ে দেন। সকলের কাছে জামাই ছাবের হিসেবে পরিচিত পান। ভাঙ্গা সাইকেল ছেড়ে পুরাতন মটর সাইকেল কিনে ভাড়ায় চালিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করতে থাকেন ছাবের মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ছাবের মিস্ত্রীর শ্যালক রহমত আলী দূর্দান্ত ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ার সুবাধে ছাবেরের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাড়ায়। অন্যের বা সরকারি খাস জমি দখল করা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। খাস জমিতেই ৫ তলা ফাউন্ডেশন করে আলীশান বিল্ডিং করে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেন ছাবের মিস্ত্রী। আধুনিক মানের দামী ঘরের আসবাব পত্র ও কয়েক ভরি স্বর্ণের গহনায় সাজান স্ত্রীকে। একাধিক খাস জমি দখল বা জমি কিনে এখন নতুন পালসার মটর সাইকেল চড়ে রাজকীয় ভাবে শ্যামনগরে চলাচল করেন ছাবের মিস্ত্রী। মটর সাইকেল মালিক সমিতির সভাপতি হয়ে সমিতির ভান্ড নিয়ে ছাবের মিস্ত্রীর উপর প্রশ্ন তুলেছেন সদস্যরা। কিন্তু তার শ্যালক রহমত আলীর ভয়ে তারা কিছুই করতে পারেন না। তার শ্বশুর মোকছেদ আলী, শ্যালক রহমত আলী ও ছাবেরের নেতৃত্বে নকিপুরের সোজার বহু বছরের দখলীয় কোটি টাকার জমি দখল করার অভিযোগ উঠে। ছাবেরের আত্মীয়দের পুনর্বাসন করতে ছাবের মরিয়া হয়ে উঠে। তার শ্যালক রহমত আলী হাসপাতালে সিন্ডিকেট তৈরি করে ডাক্তারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করা ছাড়াও বিসিএস ক্যাডার ডাঃ আনিছুর রহমানকে অন্যায় ভাবে মারপিট করার ঘটনার মামলায় জেল খেটেছেন। তিনি একাধিক বার বিভিন্ন অপকর্মের কারনে জেল খেটে পুনরায় তার কুকর্মে রত হয়। তার এহেন অনৈতিক কাজে তার পিতা, ছাবের ও জনৈক সাদ্দাম নামে এক যুবক সহায়তা করে থাকে। আর্থিক ফায়দা লুটে নেন ছাবের মিস্ত্রী। অল্প দিনে ছাবের মিস্ত্রী জিরো থেকে হিরো হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ছাবের মিস্ত্রী জানান, তিনি বা তার শ্বশুর বা শ্যালক অনৈতিক ভাবে কোন কাজ করেন নি, বৈধ উপার্জন করেই তিনিই চলাচল করেন। কালিগঞ্জে নিয়মিত অফিস না করে শ্যামনগরে সর্বদা থাকায় এবং তার অবৈধ আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সহ সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরবাসী।