সাতক্ষীরায় শীতের প্রকোপ ও কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো ধানের বীজতলা হচ্ছে লাল
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা :
শীতের প্রকোপ ও কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরায় বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত দিন ও রাতের দীর্ঘ সময়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা অব্যহত থাকলে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় তিন হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৪৫০ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীর্ াশহরতলীর কাশেমপুরের কৃষক শহীদুল ইসলাম, বালিয়াডাঙার মোতাহার নেওয়াজ মৃণাল জানান,সাতক্ষীরায় আমন ধান কাটা শেষ না হতেই এবার মাটিতে ও ট্রেতে করে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়।
বর্তমানে সাতক্ষীরা সদররের কাশেমপুর বিল, শ্যালের বিল, ডেইয়ের বিল, দেবনগর বিল, যোগরাজপুর বিলসহ জেলার সাতটি উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আগে ভাগে বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। এবার ২৮, ৪৭ ৬৭, ৮৮ জাতের বোরো চাষ হচ্ছে। তবে সবেেচয়ে বেশি চাষ হচ্ছে ২৮ জাতের। তবে হঠাৎ করে শীত ও কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বীজতলা। ফলে কাঙ্খিত ধান উদপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
রাখালতলা বিলের কৃষক আব্দুল আলীম জানান, আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা আগে ভাগে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। ২৮ ও ৮৮ জাতের এক কেজি বীজ ধান ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
মঙ্গলবার বীহতলা থেকে পাতা তোলার সময় দেখতে পান লাল রং এর পাতা। হঠাৎ করে শীত ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় কোল্ড ইনজুরি জনিত রোগের কারণে এমন হচ্ছে। তবে এর হাত থেকে বাঁচতে হলে সূর্যাস্তের আগে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে পরদিন ভালভাবে রৌদ্র না দেখা দেওয়া পর্যন্ত পলিথিন না খোলার জন্য তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান ডালিম জানান,শীত ও কুয়াশা বাড়ায় ধানের বীজতলা লাল হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার আগে থেকে পরদিন সকাল ১১টা নাগাদ বীজতলা পলিথিন দিয়ে মুড়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।