আশাশুনিতে সেফটি ট্যাংকির অভাবে মুজিব বর্ষের ৫টি গৃহ ৭ মাসেও হস্তান্তর হয়নি
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলায় মুজিব বর্ষের উপহার এর গৃহ নির্মান শেষ হলেও সেফটি ট্যাংকির কাজ না হওয়ায় প্রায় ৭ মাসেও গৃহহীন পরিবারগুলোকে ঘর হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে অসহায় পরিবারগুলো শীতের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। সেফটি ট্যাংকির কাজ না হওয়ার কারণ হিসাবে ঘরের পিছুনে খাস জমি অবৈধ দখলদারের হাত থেকে উদ্ধার করতে না পারায় কাজ বন্ধ হয়ে আছে বলে জানাগেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বদান্যতায় মুজিব বর্ষের উপহার হিসাবে দক্ষিণ চাপড়ায় ৫টি গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মান করে দেওয়ার কাজ করা হয়। প্রায় ৭ মাস পূর্বে ঘরের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। ঘরের পিছনে সফটি ট্যাংকি নির্মান পরিকল্পনা ছিল। জানাগেছে জনৈক আবু সাইদ প্রায় ১ বিঘা খাস সম্পত্তি দখল করে আছেন। সেফটি ট্যাংকির জন্য কাজ করতে গেলে তিনি বাধা প্রদান করলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৭ মাসেও সে কাজটি আর হয়নি।
ফলে গৃহহীন অসহায় পরিবার স্বামী পরিত্যাক্তা সেলিনা আক্তার, খোকেনর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন, জোবায়েরের স্ত্রী রহিমা আক্তার রিয়া, আঃ কাদেরের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, সরকারি ভাবে ঘর তাদেরকে বুঝে না দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শীতের দিনে চরম বিপত্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা নির্মীত ঘরকে আরও মজবুত করে নিতে যাকিছু সম্বল ছিল তা দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নিয়েছিলেন।
ফলে এখন তারা যেমন কপর্দকহীন হয়ে পড়েছেন, তেমনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুবই কষ্টকর জীবন যাপন করছেন বলে জানান। এক ব্যক্তির অবৈধ দখলের কারনে ৫টি সরকারি গৃহ নির্মানের পরও সামান্য একখÐ জমিতে সেফটি ট্যাংকি বসানো থেমে আছে এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান সাংবাদিকদের জানান, ঘর নির্মান করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। জমি চিহ্নিত করে দিবেন ইউএনও স্যার ও এসি ল্যাÐ। জমি দেখিয়ে দিলেই কাজ করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জমি ও ঘর করে দিচ্ছেন। কারো কারনে সেটি থেমে থাকবে মেনে নেওয়া যায়না। অসহায় পরিবারগুলো এখন সীমানাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। আমি ইউএনও সাহেবের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি। বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘরের পিছনে একজন দখল আরে আছে। আগামী কাল (মঙ্গলবার) সেখানে যাব। যে ভাবে ম্যাপ করা আছে সেভাবে সেফটি ট্যাংক নির্মান করা হবে এবং দ্রæতই ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।