কালিগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় বেগম রোকেয়া দিবস এবং জয়িতাদের সন্মাননা স্মারক প্রদান কর্মসূচী পালন

এস.কে ফিরোজ আহম্মেদ :

“সবার মাঝে ঐক্য গড়ি,নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি।” স্লোগানকে সামনে রেখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজনে এক র‌্যালী, মানব-বন্ধন, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সন্মাননা প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ ০৯-১২-২০২২ তারিখ শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে বেগম রোকেয়া দিবস ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২২ এবং নারী নির্যাতন নির্মূল করনে ১৬ দিন ব্যাপী(২৫শে নভেম্বরে -১০ ডিসেম্বর) প্রচারাভিযান ২০২২ উপলক্ষে মানব-বন্ধন, র‌্যালী, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সন্মাননা প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়।

উক্ত কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চু, ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির হাবিবুর রহমান এসোসিয়েট অফিসার (সেলপ) প্রমুখ।

কর্মসূচিতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সন্মাননা প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন দিক বিবেচনায় উপজেলার যে শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছেন তারা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী : মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সাজ্জাদ আলী গাজীর স্ত্রী মোসা: ফাতেমা খাতুন।

শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী : তারালী ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের মৃত মোহর আলী গাজীর কন্যা শাহিনা আক্তার চায়না।
সফল জননী নারী : ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের খারহাট গ্রামের পঞ্চানন দাশের স্ত্রী পারুল দাশ।

নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুকারীনী নারী: কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের জোবায়ের হোসেনের কন্যা মোছা:রেহানা পারভীন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী : কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের তপন গোস্বামীর কন্যা শম্পা গোস্বামী।

সম্মাননা প্রদান-কালে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার নারী নির্যাতন দমনে কঠোর। তারই ধারাবাহিকতায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও সর্বদা সচেষ্ট ও সজাগ। যার ফলে প্রতিবছর নারীরা শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন।

তাছাড়া বেগম রোকেয়া দিবসের এই কর্মসূচির প্রতিপাদ্য বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক।

উল্লেখ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।

এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়। এ বছরও এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নারী নির্যাতন বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)