কাজের কথা বলে নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ করলেন মেম্বার

নিউজ ডেস্ক:

দিনটি ছিল ১ অক্টোবর। নারী ইউপি সদস্যকে দাপ্তরিক কাজের কথা বলে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যান আরেক ইউপি সদস্য জুয়েল। সেখানে কাজ নেই তবুও বিভিন্ন অজুহাতে তাকে আটকে রাখেন তিনি। পরে রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য বের হন তারা। কিন্তু তাতে বাগড়া দেয় ভাগ্য। মেলেনি কোন গাড়ি। ওই সময় জুয়েল গাড়ি আনার কথা বলে একটি বাড়িতে বসিয়ে রাখেন। পরে ফিরে এসে জানান, গাড়ি পাওয়া যায়নি। আজ রাতে এখানেই থাকতে হবে। একপর্যায়ে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ করেন জুয়েল।

ঘটনাটি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানায় জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ।

তিনি বলেন, ১ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্যকে দাপ্তরিক কাজের কথা বলে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যান জুয়েল। কাজ না থাকা সত্ত্বেও তিনি তাকে বিভিন্ন অজুহাতে সেখানে আটকে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য বের হন তারা। কিন্তু তাতে বাগড়া দেয় ভাগ্য। মেলেনি কোন গাড়ি। এ সময় জুয়েল ভুক্তভোগী নারীকে গাড়ি নিয়ে আসার কথা বলে একটি বাড়িতে বসিয়ে রাখেন। পরে ফিরে এসে জানান, গাড়ি পাওয়া যায়নি, আজ রাতে এখানেই থাকতে হবে। একপর্যায়ে জুয়েল ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল কেড়ে নেন ও জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ করেন।

পরদিন সকালে ভুক্তভোগী নারীকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। তবে ঘটনাটি জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্যের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। মেম্বার জুয়েলকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)