ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড: জাহিদ মালেক

নিউজ ডেস্ক:

ওষুধ ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট- ১৯৭২ অনুযায়ী এই অপরাধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রোববার ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে শাস্তির বিষয়ে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত নোটিশটি উত্থাপন করেন সংরক্ষিত আসনের লুৎফুন নেসা খান। নোটিশে তিনি ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করণে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

ভেজাল ওষুধ তৈরি, আমদানি ও বিক্রি হচ্ছে স্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করা হয় সেটা আমরা জানি। দেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হয় এবং ৬৩টি দেশে তা রফতানি করা হচ্ছে। তবে ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ প্রশাসন কাজ করে থাকে। ওষুধ প্রশাসনের অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, যেন কেউ নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতে না পারে।

জাহিদ মালেক বলেন, ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তাই ভেজাল প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ওষুধ আইন-২০২২ এর একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওষুধে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা জরিমানা আদায়, ২০০ জনকে করাদণ্ড এবং প্রায় ৮০ কোটি টাকার ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে ভেজাল ওষুধ তৈরির জন্য ২০টি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)