বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা

 স্পোর্টস ডেস্ক :

আগের ম্যাচে বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে প্রোটিয়াদের।

সিডনিতে আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট নিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন পেসার তাসকিন।

কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতই হয়েছে।

ব্যাট হাতে ওয়ানডাউনে নেমে তাসকিন-সাকিবদের তুলোধোনা করলেন রাইলি রুশো। মাত্র ৫২ বলে সমান ৭ বাউন্ডারি ও ছক্কায় হাঁকালেন সেঞ্চুরি।  ওপেনার কুইন্টন ডি কক করেছেন ৩৮ বলে ৬৩ রান।

এ দুই তারকার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে কুড়ি ওভারে করতে হবে ২০৬ রান!

বল হাতে প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে দেন পেসার তাসকিন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুরুল হাসানের গ্লাভসে। দলীয় ২ রানেই প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর শুরু হয়ে ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব।  পাওয়া প্লেতে এক উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে ফেলেন ডি কক-রুশো জুটি।

একমাত্র মোস্তাফিজ ছাড়া তাসকিন, মিরাজ, হাসান, সাকিব সবাই তুলোধোনা হয়েছেন। কেবল মোস্তাফিজই ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন, যদিও উইকেট পাননি।

সাকিবের এক ওভার থেকেই ২১ রান নিয়েছেন রুশো। সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়েছেন পেসার তাসকিন। ৩ ওভারে এক উইকেট নিয়ে ৪৬ রান দিয়েছেন তিনি।

এমনিতেই রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি ককের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দিশা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। এর মধ্যে ক্যাচ ছাড়লেন হাসান মাহমুদ।

তাসকিন আহমেদের বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন রুশো। খুব কঠিন ছিল না ক্যাচ তবে কিছুটা এগিয়ে এসে জমাতে পারেননি হাসান। ৮৮ রানে বেঁচে যান রুশো।

তাসকিনের ওভার থেকে আসে ২৩ রান। এই ওভারেও একটি ‘নো’ বল করেন তাসকিন।

পরের ওভারে ডি কক- রুশোর জুটি ভাঙেন অনিয়মিত বোলার আফিফ।  ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে এ অফ স্পিনারকে উড়িয়ে মেরে ডি কক ধরা পড়েন লং অফে।

তার বিদায়ে ভাঙে ১৬৮ রানের রেকর্ড জুটি।  ডি কক ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৬৩ রান করেন ডি কক।

এক ওভার পরে সাকিবকে আলতো হাতে অফ সাইডে খেলেই সিঙ্গেল নেন রুশো এবং মাতেন সেঞ্চুরির উল্লাসে। ৫২ বলে ৭টি করে ছক্কা-চারে তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি।  বিশ্বকাপের চলতি আসরে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি।  আর রুশোর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন রুশো ৪৮ বলে। ইনিংসে ৮ ছক্কার সঙ্গে ছিল ৭ চার।

এর আগে একই ওভারের প্রথম বলে ত্রিস্টান স্টাবসকে ৭ রানে ফেরান সাকিব। সেঞ্চুরির পর সাকিবের বলেই ফিরেছেন রুশো।

শেষ দিকে ঠিকঠাক টাইমিং হচ্ছিল না রাইলি রুশোর। যেখানে বল পাঠাতে চাচ্ছিলেন সেখানে পারছিলেন না। দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর ১৯তম ওভারের ৩য় বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।

বেশ উঁচুতে ওঠে যাওয়া ক্যাচ নেন লিটন দাস। ৫৬ বলে আট চার ও সাত চারে ১০৯ রান করেন রুশো।

এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন এইডেন মারক্রাম। হাসান মাহমুদের ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল উপরে উঠে যায় মারক্রামের। সহজ ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন মারক্রাম।

তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।  একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন, হাসান ও আফিফ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)