শ্যামনগরের বিয়ে প্রতারক সাইফুলাহ’র হাত থেকে নারী সমাজকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন এক নারীর
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা :
তিন তিনটি বিয়ের কথা গোপন রেখে আবারো বিয়ে করে যৌতুকের টাকা না পেয়ে চতুর্থ স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা ছাড়াও জুডিশিয়াল আদালতে প্রতারণার মামলা থাকলেও বহাল তবিয়তে সাইফুলাহ। বিয়ে প্রতারকের হাত থেকে নারী সমাজকে বাঁচাতে কালিগঞ্জের তারালীর ভূমিহীন নেতা শেখ আব্দুলার মেয়ে খায়রুন্নছা ওরফে ফাতেমা শ্যামনগর উপজেলার ভৈরবনগর গ্রামের মুন্সি আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে স¤প্রতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
স¤প্রতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে উলেখ করেছেন যে, তিনি সাইফুলার তৃতীয় স্ত্রী। পিটরোজপুর জেলা সদরের জুজখোলা গ্রামের দোলায়ার ব্যাপারীর মেয়ে তামান্না আক্তার মীমকে মৌখিক কবুল মুলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রথম বিয়ে করে।২০১৮ সালের ২১ মার্চ তাকে দেনমোহর খোরপোষ না দিয়ে তালাক দেয়। এরপর আগের বিয়ের কথা অস্বীকার করে শ্যামনগর উপজেলার ভ্র“লিয়া গ্রামের আফছার মোলার মেয়ে তানজিরুলেেক মুখে কবুল বলে রেজিষ্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করে ২০১৮ সালের ৬ মে খোরপোষ ও দেনমোহর না দিয়ে তালাক দেয়।
এরপর তথ্য গোপন করে তাকেও সরকারি বিধি মোতাবেক বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তাকে মারপিট করা হতো। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল খোরপোষ না দিয়ে তালাক দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই বছরের ১৫ মে সাইফুলাহ ও তার ভাই ওবায়দুলার নামে মামলা করেন। আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় সাইফুলাহ।
এ ঘটনায় তিনি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রী তামান্না খাতুন অন্যের স্ত্রী থাকালিন মোবাইলে যোগাযোগ করে স্বামীকে তাল্কা দিতে বাধ্য করে দ্বিতীয়বার সরকারি বিধি মোতাবেক বিয়ে না করে মুখে মুখে কবুল পড়ে বিয়ে করে সাইফুলাহ। চলতি বছরের ১৪ আগষ্ট তামান্নাকে আবারো দেনমোহর খোরপোষ না দিয়ে তালাক দিয়েছে। এমন এক বিয়ে প্রতারকের হাত থেকে নারী স মাজকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।