রমজাননগরে ধর্ষিতা গৃহবধূর সন্তান প্রসব, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় আটক এক

শ্যামনগর ব্যুরো:
শ্যামনগর রমজাননগরে ধর্ষিতা গৃহবধূর সন্তান প্রসব, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি সঞ্চয় গ্রেফতার ৷ এজাহার সূত্রে জানাগেছে যে, উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের নতুনঘেরী গ্রামের হরেন সরদারের ছেলে সঞ্চয় একুই এলাকার হরেকৃষ্ণ ধীবরের মেয়ে ছদ্মনাম (প্রমা) (১৮) সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মেলামেশা করার জন্য প্রভাব দিত। পরবর্তীতে প্রমার বিয়ের পর সঞ্চয়  অন্য জায়গায় বিয়ে করে। প্রমা পিতার বাড়ীতে আসলে সঞ্চয় সুযোগ বুঝে পূর্বের ন্যায় প্রমাকে উত্যাক্ত করত। প্রমার স্বামী সুব্রত মণ্ডলের সাথে ঘর সংসার করাকালে আমাদের ১টি কন্যা সন্তান জন্ম হয় ৷ যার নাম ঝর্ণা (৩)।
প্রমার স্বামী সুব্রত মণ্ডল তার পিতার বাড়ীতে থাকাকালে সঞ্চয় তার স্বামীকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রায় হুমকি সহ খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাত। প্রমার স্বামী সঞ্চয়ের আচার আচারণে ক্ষুব্দ হয়ে প্রমা সহ মেয়ে বর্নাকে রেখে চলে যায়। প্রমার অভাবী পিতার সংসারে থেকে নদী খালে বাগদা রেনু পোনা ধরে এবং লোকের ক্ষেত খামারে জনমুজুরী খেটে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে ।  প্রমাকে একাকী পেলে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলাতে থাকে ।
সঞ্চয় দিনের পর দিন প্রমাকে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন সহ বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় প্রমা বুঝতে না পেরে তার প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ি। একপর্যায়ে সঞ্চয়ের কথায় বিশ্বাস  করে তার কথামত গত ইং ১৫ মে ২০১৯ তারিখ বিকাল অনুমান ৫ টার সময় সঞ্চয় কালিঞ্চী গ্রামের নদীর চরে মৎস্য ঘেরের বাসায় দেখা করে প্রমার   মাথার হাত রেখে শফত করে  ভগবানকে সাক্ষী রেখে  দৈহিক মেলামেশা করে। প্রমার ঔরষে নবজাতক সন্তান গর্ভে আসে।
২৩ সপ্তাহ প্রমার গর্ভের সন্তানের বয়স হলে প্রমা সঞ্চয়ের কাছে স্ত্রীর দাবি করে ৷ তখন সঞ্চয় তার দুই বোন জামাই একুই এলাকার সম্ভচরনের ছেলে কুমারেশ সহ অন্য বোনজামাই পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রমার গর্ভের সন্তান  নষ্ট করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় সঞ্চয়ের কথামত গত ৪ আক্টোবর ২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান ৪ টাই প্রমা, সঞ্চয়, সঞ্চয়ের বোনজামাই  সেই ঘেরের বাসা গিয়ে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি পেতে প্রমার পেটে থাকা সন্তান নষ্ট করতে হবে মর্মে জানায় ৷
প্রমা সরল বিশ্বাসে সন্তান নষ্ট করার ঔষধ/ট্যাবলেট (৫টি) খাওয়ায়ে দেয় ৷  রাত্রে প্রমার পেটে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রনা হতে থাকে এবং রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। পরের দিন গত ৫ আক্টোবর ২০২২ তারিখ সকালে আমার পেটে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য ভেটখালী বাজারে যায় ৷  কিন্তু আমার পেটে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রনার কারণে ছটফট করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন প্রমার শরীরের অবস্থা দেখে  চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই ।
প্রমার বর্তমানে চিকিৎসাধীন থেকে সন্তান প্রসব করে ৷  বিষয়টি নিয়ে প্রমা নিজ বাদী হয়ে শ্যামনগরে একটি মামলা দ্বায়ের করেন ৷ শ্যামনগর থানা পুলিশ ৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাত ৯ টার সময় সঞ্চয়কে গ্রেফতার করে ৷ এবং পরবর্তীতে সাতক্ষীরা জেল হাজতে প্রেরণ করেন ৷
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)