তালায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ফারুক সাগর(তালা প্রতিনিধি):
তালা উপজেলার ভারসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শিক্ষা অফিসে প্রধান শিক্ষিকা সুলতা রাণী ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, তালার সরুলিয়া ইউনিয়নের ভারসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতা রানী ঘোষের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম এবং কর্তব্যরত দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষিকা নিজেই ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারের কাছে স্কুল সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চাই । দায়সারা ভাবে কাজ সমাপ্ত করে তিনি মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ।
এলাকার একাধিক অভিভাবক জানায় স্কুলের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নামে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মাসিক টাকা আদায় করেন তিনি । যে বিদ্যুৎ বিল প্রতিমাসে সরকার দিয়ে থাকে। জাতীয় দিবসে সরকারি অর্থ খরচ না করে তিনি সেই টাকা  আত্মসাৎ করেন। সহকর্মী শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরন করেন বলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি নিয়মিত স্কুল করেন না। ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সরকারি গাছ বিক্রয় করে তিনি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা থাকলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে তিনি এই দায়িত্ব পালন করান এবং সরকার একটা অর্থ দিয়ে থাকে যেটা প্রধান শিক্ষিকা নিজেই আত্মসাৎ করেন বলে লিখিত আরও একটি অভিযোগে পাওয়া যায়।
অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায় ১২৪০২০৯১০৭৪৯৪-৩১১১৩০৬ এ্যাকাউন্ট থেকে ওই শিক্ষিকা গত কয়েক বছর ধরে ভাতা গ্রহন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান শিক্ষিকার কোনো সন্তান নাই। খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্যা সাবির হোসেন ৩-৮-২০২২ তারিখে তার ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৮৭১৯০৭৯০৪৭৪৯০, জন্ম তারিখ: ১১/১০/১৯৬৭ খ্রি.। খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে চেয়ারম্যান মোল্যা সাবির হোসেন প্রধান শিক্ষিকা সুলতা রানী ঘোষের কোনো সন্তান নাই বলে প্রত্যয়ন পত্রে নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি অস্বীকার করেন ।
এলাকার অভিভাবকরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা (ডি. পি. ও) রুহুল আমিন হাওয়ালাদার জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)