সিডও কমিটির সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা কাযালয়ে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস ও সিডও কমিটির সমাপনী মন্তব্য (২০১৬)বাস্তবায়ন পযালোচনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না দত্ত। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি শামীমা সুলতানা, অথ সম্পাদক হাফিজা খাতুন সাংগঠনিক সম্পাদক রুপা মিত্র, লিগ্যাল এইড তৈয়েবা সহ জেলা ও পাড়া কমিটির নেত্রী e„›`| আলোচনা সভায় বক্তব্যে বলেন নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়।
১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হতে শুরু করে।.সিডও সনদে ৩০টি ধারা আছে। ১ম ১৬টি ধারা নারীর প্রতি কত প্রকার বৈষম্য আছে তা নিশ্চিত করে। পরের ১৪টি ধারা ব্যক্ত করে কিভাবে এগুলো বিলোপ করা যায়। সিডও জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ও ঘোষিত একটি সনদ। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এ সনদ ঘোষণা করে। ১৯৮১ সালে তা কার্যকর হয়।
এর মূল বিষয় হচ্ছে, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ বা দূরীকরণ। যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সব ক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এটি আইনগত ভিত্তি নিয়ে একটি কনভেনশন আকারে রূপ লাভ করেছে। এ সনদটি মূলত তিনটি প্রেক্ষিত থেকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয়। ক. নারীর নাগরিক অধিকার ও আইনি সমতা নিশ্চিতকরণ, যার মাধ্যমে নারী গণজীবনে ও সমাজে পুরুষের সমপর্যায়ে সব সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
খ. নারীর প্রজনন ভূমিকাকে সামাজিক ভূমিকা হিসেবে গণ্য করা, যাতে প্রজননের কারণে নারীকে কোণঠাসা না করে এ ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। গ. আচার-প্রথা, সংস্কার ও বিধি যা নারীর জেন্ডার ভূমিকা নির্ধারণ করে, তা বাতিল করা। পরিবার ও সমাজে শুধু ‘মানুষ’ হিসেবে নারীকে গণ্য করা এবং পুরুষের ক্ষমতাভিত্তিতে তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সিডও একমাত্র আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সনদ, যা শুধু নারী সংক্রান্ত। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ৬০টির অধিক সনদ বা চুক্তির মধ্যে ৭টি সনদকে মৌলিক বা মানবাধিকার চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার মধ্যে সিডও সনদ অন্যতম। বিশ্বের ১৮৬টি সদস্য রাষ্ট্র সিডও সনদে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে সিডও সনদে স্বাক্ষর করে। এর ইংরেজি CEDAW।