সাতক্ষীরার আলীপুরে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আলীপুরে ননদের স্বামীর কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এক গৃহবধূকে শশুর-শাশুড়ি দিয়ে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের ভবানীপুর গ্রামের শ্রী দেবেন চন্দ্র দাসের কন্যা ভুক্তভোগী শীলা দাস। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আনুমানিক ৬ বছর পূর্বে আলীপুর গ্রামের নগেন দাসের পুত্র সুমন দাসের সাথে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আমার শ^শুর বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে না পারায় শ^শুর নগেন এবং শ^াশুড়ী মিনা আমাকে বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে।
একপর্যায়ে ঘেরের হারির জন্য আমার পিতার কাছ থেকে চাপপ্রয়োগ ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা গ্রহণ করে। আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসছে শ^শুর নগেন দাস। স্বামী সুমন দাস তার বাবা মার সামনে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
তারপরও নিরবে সহ্য করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি আমার ননদ আলো দাসের স্বামী সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের গোবিন্দ মাস্টারের পুত্র বেনু গোপাল আমার স্বামী সুমন দাস সারাদিন কাজের জন্য বাইরে থাকার সুযোগে কু প্রস্তাব দিতে থাকে।
আমি বেনু গোপালের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন কৌশলে আমার শশুর ও শাশুড়ীকে
আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। বেনু গোপালের উস্কানিতে শশুর নগেন ও শাশুড়ী মিনা আমাকে প্রায়ই মারপিট করতে থাকে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে থাকে।
সর্বশেষ গত ২৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে আমার স্বামী সুমন কাজে চলে যাওয়ার পর বেনু গোপাল, আমার শ^শুরনগেদ ও শ^াশুড়ী মিনা আমার বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
মারপিটের ঘটনা শুনে আমার পিতা-মাতা আমার শ^শুর বাড়ীতে গেলে তাদেরও মারপিট করে আমাকেসহ তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার পিতা মাতা আমাকে নিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন নির্যাতিতা নারী।
ননদের চরিত্রহীন স্বামী বেনু গোপাল, অর্থলোভী শ^শুর ও শ^াশুড়ির কারনে আমার সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সব কিছু জেনেও আমার স্বামী নিরব ভূমিকায় রয়েছে। অথচ আমাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তাদের অত্যাচারে আমি বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই চরিত্রহীন বেনু গোপালসহ শশুর নগেন দাস ও ^াশুড়ী মিনা দাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।