প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে সাক্ষী দিলেন দুই জন

রঘুনাথ খাঁ:

২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি অভিযোগপত্রে সাক্ষ্য দিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়্মাী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। রবিবার তারা সাতক্ষীরার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের কাছে এ সাক্ষ্য দেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আগামি ২৯ আগষ্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামীকে আদালতের কাঠগোড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলায় নয় জন আসামী পলাতক রয়েছেন। সকাল ১০টা ২২ মিনিটে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও দৈনিক মানব জমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেন সাক্ষ্য দেওয়ার পর তাদের জেরা শেষে দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আমিনুল ইসলাম, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল,অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী,প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল এসএম মুনির, সহকারি এটর্ণি জেনারেল মোঃ শাহীন মীরধা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, সরকাাির কৌশুলী অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যসোসিয়েমনের সহসভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. সৈয়দ জিয়া, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী ও সাংবাদিক আহত হন। এঘটনায় কলারোয়ার মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মোসলেমউদ্দিনের করা হামলা মামলার পেনাল কোর্ডের মামলাটি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০২১ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। মামলার অপর দুটি অংশে গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ দুটি মামলায় সোমবার পর্যন্ত ৮ জন সাক্ষী দিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)