জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যা হত্যা মামলায় বেমাতা ভাইসহ তার দুইপুত্রকে ফাঁসিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব  প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা
হত্যা মামলায় বেমাতা ভাইসহ তার দুইপুত্রকে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে
হয়রানি ও নারীকেহ ত্যা চেষ্টার মামলা আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল
মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের কৈখালী
গ্রামের আলী হোসেন মেম্বরের স্ত্রী নাছিমা খাতুন। লিখিত অভিযোগে তিনি
বলেন, আমার স্বামী সদরের লাবসা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি
সদস্য। গত ১১ জুন২২ সাতক্ষীরা সদর থানার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালি গ্রামের
মৃত আনছার আলী সরদারের পুত্র আমজেদ হোসেন বাদি হয়ে স্বামী আলী হোসেন, তিন
পুত্র জুয়েল হোসেন, জুলফিকার ও রুবেল হোসেনের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা
দায়ের করেন। যার নং : ২৮, জিআর নং : ৪৫৭/২০২২। পুলিশ মেজো পুত্র মামলার ১
নং আসামী জুয়েল হোসেনকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে। স্বামী, দুই পুত্র
বিজ্ঞ উচ্চ আদালত হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিয়ে গত ১৮ জুলাই
আদালতে হাজিরা দিলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। সে
হিসাবে আমার বাড়িতে পুরুষশূণ্য হয়ে যায়। ২৬ জুলাই বিকালে আদালত থেকে বাড়ি
ফিরি দেখি কৈখালি বাজারে ইমান হোসেন আমাদের জায়গা দখল করে প্রাচীর
নির্মাণ করছে। এঘটনা লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের কাছে
অভিযোগ দিলে তিনি ইমান হোসেনকে বলে কাজ বন্ধ করে দেন। পূণরায় উক্ত কাজে
আমি সহ আমার পুত্রের বউয়েরা তাদের নিষেধ করার ফলে ইমান হোসেন ও তার পুত্র
নাঈম হোসেন গংয়েরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার
মাথায় কোপ মারে। বউমাদের শ্লীলতাহানী করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে সাতক্ষীরা
সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৭ জুলাই ২০২২ আমার ভাই মোশাররফ হোসেন
বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করে। যার নং : ৬৩। উক্ত মামলা হওয়ার পরেও
তারা গ্রেফতার হয়নি। উল্টো ইমান হোসেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ২৭ জুলাই
সংবাদ সম্মেলন করেছে। হত্যা মামলার বাদি ও স্বাক্ষীদের পরিকল্পিত মিথ্যা
মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং তার বড় ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা
হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেখানে মারপিটের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আনছার আলী
সরদারের বয়স ৮০ বছর। তার কোন তদন্তই করা হয়নি। সে সময় ভাসুরের ছোটপুত্র
আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আমার ছোট ছেলে রুবেলের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
সেখানে আমার স্বামী আলী হোসেন মেম্বর এবং বড়পুত্র জুলফিকার ছিলেন না।
এমনকি আনছার আলীও ছিলেন না। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি আওয়াজ পেয়ে
ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা
সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা করে। তিনি ইমাম হোসেন
ও নাঈম হোসেনকে দ্রুত গ্রেফতার ও স্বামী,পুত্রদের হত্যা মামলার দায় থেকে
অব্যহতির ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)