তালায় কলেজছাত্রী অপহরণ মামলা তুলে নিতে মারপিটসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি-প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি : তালায় কলেজছাত্রী অপহরণ মামলার আসামীরা জামিনে
মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে বাদী, স্বাক্ষীদের মারপিট করাসহ খুন জখম ও
মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব
মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন,
সাতক্ষীরার তালার নওয়াড়া গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর স্ত্রী বিউটি বেগম।
তিনি বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই কন্যাকে নিয়ে অতি কষ্টে জীবন-যাপন করে
আসছি। আমার ছোট কন্যা অত্যান্ত মেধাবী হওয়ায় তার পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলাম।
সে সদ্য এসএস সি পাশ করে খুলনা বিএল কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
কন্যা মেধাবী হওয়ার পাশাপাশি সুন্দরী হওয়ায় একই এলাকার দেলোয়ার মোড়লের
বখাটে পুত্র বাহারুল ইসলাম জয় এর কু নজর পড়ে আমার কন্যার উপর। কলেজে
যাওয়া আসার পথে প্রায়ই আমার কন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বাহারুল
ইসলাম জয়। কিন্তু আমার পিতৃহীন কন্যা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই
বখাটে বাহারুল ইসলাম জয় তাকে অপহরনের চক্রান্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত ১৬
জুন ২২ তারিখে বাড়ি থেকে খুলনা যাওয়ার পথে জয়সহ তার সহযোগিরা আমার
কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমরা তালা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা
পুলিশ জয় এর পিতাকে থানায় তুলে নিয়ে যান। কিন্তু মদনপুরের জনৈক
প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ঘটনাটি দীর্ঘদিন
অতিবাহিত হলেও কন্যার কোন সন্ধান বা উদ্ধার করতে না পেরে থানা পুলিশ
অপহরণ মামলা রেকর্ড করে। পরবর্তীতে আদালতে উক্ত মামলায় হাজির হয়ে জামিন
প্রার্থনা করলে জয় এর মাতা মামলার ৩নং আসামী নুর নাহার বিউটিকে জামিন দেন
এবং ২নং আসামী দেলোয়ার মোড়লকে কারাগারে প্রেরণ করে। অপহরনের ১ মাস ৯ দিন
পর তালা থানার ওসির প্রচেষ্টায় থানা পুলিশ কন্যাকে উদ্ধার করে আদালতে
হাজির করলে তার বয়স কম থাকায় আদালতে তাকে সেফ হোমে পাঠিয়ে দেন। পরের দিন
দেলোয়ার জামিন প্রার্থনা করলে আদালতে তাকে জামিন প্রদান করে। তবে ১নং
আসামী বখাটে বাহারুল ইসলাম জয় এখনো পলাতক রয়েছে। জামিনের পর জেল হাজত
থেকে সন্ধ্যায় বের হয়েই নওয়াপাড়া বাজারে বাহারুল ইসলাম জয় এর পিতা
দেলোয়ার ও তার মামা ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মুকুল হোসেনের
নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজন আমাকেসহ মামলার স্বাক্ষীদের মারপিট করে গুরুতর
আহত করে। বর্তমানে তারা তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মুকুল হোসেনের ইন্ধন ও পরামর্শে আমাদের খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে
হয়রানির হুমকি ও মামলা তুলে না নিলে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আমাদের এলাকা
ছাড়া করবে। আমার পরিবারে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় তাদের হুমকিতে আমার
দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ওই বখাটে
পরিবারের সদস্যদের হা থেকে জীবনের নিরাপত্তা পেতে এবং কন্যাকে অপহরনের
ঘটনায় দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ
সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)