৪ কোটি টাকায় মেসির ৫০০তম গোলের জার্সিটি কিনেছেন অনিশ

স্পোর্টস ডেস্ক :

পাঁচ বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২-২ গোলে সমতায় ছিল বার্সা। জর্দি আলবার পাস থেকে ম্যাচের শেষ কিকে গোল করে স্কোরবোর্ড পাল্টে দেন লিওনেল মেসি। ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় বার্সা। গায়ের জার্সিটা খুলে রিয়াল সমর্থকদের দিকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি।

কানাডার নাগরিক অনিশ কানাবার এক ফুটবলভক্ত। ২০১৭ সালের এপ্রিলে বার্নাব্যুতে মেসির উঁচিয়ে ধরা সে জার্সিটা এখন তার সংরক্ষণে।

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিওন’কে অনিশ বললেন, খুব টাকার দরকার না পড়লে এই জার্সি আমি বেচব না। সারা জীবন নিজের কাছে রাখতে চাই।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বসবাস করা ২৪ বছর বয়সী অনিশের কাছে জার্সিটা আসার আগে আরো দুবার হাতবদল হয়। সেদিন ম্যাচ শেষে রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সি বদল করেন মেসি। রিয়ালের সেই খেলোয়াড়ের নাম জানা না গেলেও এতটুকু জানা গেছে, তিনি জার্সিটি পাঁচ বছর নিজের কাছে রেখেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে জার্সিটি কিনে নেন আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী এবং মেসির খেলার বিভিন্ন সময়ে জার্সি ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংরক্ষণ করে খ্যাতি কুড়ানো দামিয়ান অলিভেরা। জার্সিটি তিনি গোল্ডিনের সাইটে নিলামে তোলেন। তখন সুযোগটা পেয়ে যান অনিশ কানাবার।

সাড়ে চার লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা) খরচ করে জার্সিটি কিনে নেন তিনি। তখন পর্যন্ত সেটাই ছিল কোনো ফুটবল জার্সির জন্য সর্বোচ্চ দাম দেওয়ার নজির। ডিয়েগো ম্যারাডোনা পরে এই রেকর্ড ভেঙে দেন প্রমাণ ব্যবধানে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি যে জার্সি পরে খেলেছিলেন, সেটি নিলামে প্রায় ৯০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়।

অনিশের কাছে মেসির সেই জার্সির আবেদন কেমন হতে পারে? কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়ুয়া এই ছাত্র ইনস্টাগ্রামে তা নিজেই জানিয়েছেন, ‘নিজের ৫০০তম গোলে এল ক্লাসিকোর ভাগ্য নির্ধারণের পর এই জার্সিটা মেসি উঁচিয়ে ধরেছিলেন। এটা হলি গ্রেইলের (যীশুর পানপাত্র) মতোই পবিত্র’।

অনিশ জানান, ১০ বছর আগে হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি বিভিন্ন জিনিস বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। এভাবে একদিন বুঝতে পারেন, খেলাধুলার বিভিন্ন স্মারক সংগ্রহে রাখাটা লাভজনক। তারকাদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র হলে তো কথাই নেই।

মেসির বাইরে আরো একজন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির জার্সি সংগ্রহে রেখেছেন অনিশ, ‘আমি ফুটবল পছন্দ করি। এক সময় খানিকটা খেলেছি। নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহে রাখা শুরু করি তখন থেকে। মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সি সংগ্রহ করেছি, কারণ, তাঁরা আমার প্রেরণা। তাঁদের মতো আর কাউকে দেখিনি’।

মেসির ভক্ত অনিশ —সে কথাও স্পষ্ট করে বললেন, ‘সত্যিটা হলো মেসি যে দলে খেলে, আমি সে দলেরই ভক্ত। তাঁর জন্য বার্সার সমর্থক ছিলাম। এখন পিএসজির জন্য গলা ফাটাই। অর্থাৎ মেসি যে দলেই খেলুন না কেন, আমি সে দলেরই ভক্ত’।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)