কালিগঞ্জে পরিক্ষার ফি নিয়ে দ্বন্দ্ব বখাটেদের হামলার শিকার স্কুলের দপ্তরি

আরাফাত আলী,কালিগঞ্জ:
পরিক্ষার ফি নিয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের দপ্তরিকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। হামলার শিকার দপ্তরী হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বামনহাট গ্রামের সোবহান গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০)। গত শুক্রবার (৩জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে বামনহাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে দপ্তরি কামরুলের সাথে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পরিক্ষার ফি নিয়ে বিরোধ বাঁধে । পরিক্ষার ফি পরিশোধ না করায় প্রায় ৩০ জন ছাত্রকে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি দপ্তরি। এনিয়ে ছাত্রদের সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই ছাত্ররা পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ না পেয়ে স্কুল থেকে ফিরে যায়।বিষয়টি ছাত্ররা তাদের অভিভাবকদের জানায়।
এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে কৃষ্ণনগরের বানিয়া পাড়া গ্রামের জমাত আলী মোড়লের বখাটে ছেলে কেরামত আলীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন মাদকসেবী ওই দপ্তরিকে খুঁজতে থাকে। গত শুক্রবার রাতে দপ্তরি কামরুলকে তার বাড়ির সামনে পেয়ে ওই বখাটেরা প্রকাশ্য হামলা চালায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী আহত অবস্থায় কামরুলকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কামরুল ইসলাম বলেন, কোন কারণ ছাড়াই বখাটে কেরামত তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। স্কুলের বেতন পরিক্ষার ফি অনেক ছাত্ররা পরিশোধ করেনি।যে ছাত্ররা সব টাকা পরিশোধ করেনি তাদেরকে পরিক্ষার রুমে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক।
তিনি শুধু মাত্র সেই নির্দেশ পালন করেছেন।ওই ছাত্রদের নালিশের ভিত্তিতে বখাটে কেরামত তার উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি জানার জন্য কেরামতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, স্কুলের ফি নিয়ে বিরোধের জেরে বখাটে দের হামলার শিকার হয়েছে দপ্তরি কামরুল। এ বিষয়ে অতিদ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।এছাড়া তিনি আরোও জানান,স্কুলের দশম শ্রেণীর ১০-১২ জন ছাত্র কোন প্রকার ফি ছাড়া পরিক্ষা দিতে চেয়েছিল। ফি ছাড়া তাদের পরিক্ষার হলরুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তারা অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিলেও স্কুলে জমা দেয়নি। এজন্য তাদেরকে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য রুমে প্রবেশ করতে দেননি বলে তিনি জানান।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)