ডুমুরিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ:৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা লম্পট ধর্ষক আটক 

ডুমুরিয়ার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের এক বাক প্রতিবন্ধীকে মাসুম বিল্লাহ (২৯) নামক  এক লম্পট জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা ঘটিয়েছে । এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে লম্পট ধর্ষক মাসুম বিল্লাহ পলাতক থাকে । পরে পুলিশ তাকে কাঞ্চনপুর ডাঙ্গীরপার নামক স্থাহান কে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

জানা যায়, উত্তর মাগুরাঘোনা করিম বাক্স মোড়ের পাশে মোঃ হযরত আলী  শেখের বড় মেয়ে রেহেনা খাতুন (৩০) এর সাথে একই মহল্লার মোঃ ওমর আলী শেখের লুচ্চা লম্পট ছেলে মোঃ মাসুম বিল্লাহ (৩০) দীর্ঘদিন ধরে ইশারা ভঙ্গিতে তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার সুযোগ বুঝে ঘটনার আনুমানিক ২ মাস পূর্বে  পশ্ববর্তী নান্টু মিয়ার বাড়ির কবুতর গোয়াল ঘরের বারান্দায় নিয়ে হেস্তা-নেস্তাসহ  জোর পূর্বক উপর্যপরি ধর্ষণ করে। এ ভাবে ঘটনা ২ মাস অতিবাহিত হবার পর গত ১ জুন সকালে বমি বমি ভাব লক্ষণ দেখা যায়।

বিষয়টি পরিবারের লোকের দৃষ্টিগোচর হলে তারা স্হানীয় ক্লিনিকে ইউরিন পরীক্ষা করে রেজাল্ট পজেটিভ আসে।  তখন পরিবারের লোক তার কাছে জানতে চাইলে রেহেনা তার ভাষায়  বিষয়টি পরিবারের কাছে খুলে বলে। তিনি বলেন  মাসুম বিল্লাহ আমাকে এই অবস্হা জন্য দায়ি ৷ আমি অনেক বার বাঁধা দিয়েও তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। আমাকে কেনু দিয়ে পিঠে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় তার পর সে আমাকে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে মাসুম বিল্লাহ ও তার পিতা ওমর আলী শেখের কাছে জানতে চায়লে তার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করার উদাত্ব হয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে । তখন মসুম বিল্লার পিতা বলেন তোরা যা পারিশ আমাদের করিশ যা।   আমাদের যেন আমার বাড়িতে আসতে না দেখি। আর তোরা যদি বেশী বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোদের হাত, পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। আর যেন তোদের বাড়ির সীমায় না দেখি।

এ বিষয়ে খবর পেয়ে মাগুরাঘোনা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই, এসএম হাবিল্লাহ ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় মঙ্গলবার রাতেই ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ৮ ঘন্টার মধ্যে লম্পট ধর্ষক মাসুম বিল্লাহ কে গ্রেফতার করেছে  ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। ধর্মাণের বিষয়ে মাসুম বিল্লাহ  ১৬৪ ধারায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।