ক্যান্সার এবং টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে কাঁচা কাঁঠাল
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক :
বাজারে এখন খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল। কাঁচা কাঁঠাল খাওয়া যায় সবজি হিসেবে। কাঁচা কাঁঠালকে এঁচোড় নামেও ডাকা হয়। এটি দিয়ে তৈরি করা যায় উপাদেয় অনেক খাবার। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। কারণ পাকা কাঁঠালের মতোই কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল।
কাঁচা কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
>> কাঁঠালে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে ১.৮ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ২০৬ গ্রাম ও কাঁঠালের বীজে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহের গঠনে সাহায্য করে।
>> কাঁঠালে রয়েছে শ্বেতসার। পাকা কাঁঠালে ০.১ গ্রাম, কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ ও কাঁঠালের বীজে ০.৪ গ্রাম শ্বেতসার পাওয়া যায়।
>> কাঁঠালে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। ‘এ’ ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করে। কাঁঠালে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ পাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালে ০.১১ মি.গ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ০.৩ মি.গ্রা ও কাঁঠালের বীচিতে ১.২ মি.গ্রা বি-১ পাওয়া যায়।
>> পাকা কাঁঠালে ০.১৫ মি.গ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ০.৯ মি.গ্রা এবং কাঁঠালের বীচিতে ০.১১ মি.গ্রা বি-২ পাওয়া যায়।
>> কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। পাকা কাঁঠালে ২১ মি.গ্রা, কাঁচা কাঁঠালে ১৪ মি.গ্রা এবং কাঁঠালের বীজে ১১ মি.গ্রা ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।
কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা
>> কাঁঠালে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় শক্ত রাখে।
>> কাঁঠালে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। বলিরেখাও কমে।
>> কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। তবে এতে কোনোরকম কোলেস্টেরল নেই।
>> কাঁঠাল ফাইবার-সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এতে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টও ভালো থাকে।
>> কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চোখ ভালো রাখতে ভিটামিন এ যে অপরিহার্য, তা কে না জানে।
>> কাঁঠালে আয়রন থাকে যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় যারা ভুগছেন তাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত। এই ফল নিয়মিত খেলে পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
>> উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। এতে ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনকি ক্যান্সার এবং টিউমারের বিরুদ্ধেও শরীরে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।