শুষ্ক মুখের চিকিৎসায় কী করবেন

অনলাইন ডেস্ক :

সিস্টেমিক রোগসহ নানাবিধ কারণে শুষ্ক মুখের সৃষ্টি হয়ে থাকে। লালার প্রবাহ কমে গেলে অথবা একবারে বন্ধ হয়ে গেলে শুষ্ক মুখ হতে পারে। শুষ্ক মুখ হলে মুখের অভ্যন্তরে জ্বালাপোড়া হতে পারে। দন্তক্ষয় বৃদ্ধি পায়। একজন মানুষের কথা বলতে এবং উচ্চারণ করতে সমস্যা হয়। শুষ্ক মুখের কিছু চিকিৎসা আলোচিত হলো যা কোনো অবস্থাতেই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না।

* পাইলোকারপিন : পাইলোকারপিন ট্যাবলেট শুষ্ক মুখের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের রোগীদের রেডিও থেরাপি দেওয়ার কারণে যে ধরনের শুষ্ক মুখের সৃষ্টি হয় তা চিকিৎসা করার জন্য। এ ছাড়া জগ্রেন্স সিনড্রোমের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও পাইলোকারপিন ব্যবহার করা হয়। পাইলোকারপিনের প্রতি যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

* ক্যাফাসল বা বিকল্প লালা : ক্যাফাসল বিকল্প লালা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি কৃত্রিম লালা উৎপাদনে সাহায্য করে, যখন শরীর নিজে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপাদন করতে পারে না। মুখের ও গলার শুষ্কতা, ব্যথা অথবা অস্বস্তি নিরাময়ে ক্যাফাসল ব্যবহার করা যেতে পারে।

* অ্যাকোরাল স্প্রে : অ্যাকোরাল স্প্রে হলো কৃত্রিম লালা। এটি ব্যবহৃত হয় শুষ্ক মুখ ও গলার ক্ষেত্রে। অ্যাকোরাল স্প্রে মুখ ও গলাকে আর্দ্র রাখে এবং ভিজিয়ে রাখে। অ্যাকোরাল স্প্রের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

* জাইলিমেল্ট ট্যাবলেট : জাইলিমেল্ট ট্যাবলেট ঘুমের মধ্যে যেন লালা নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এটি ঘুমের আগে মুখের উভয় পাশে মোলার দাঁতের পাশে মাড়ির সংযোগ স্থানে স্থাপন করতে হবে। এই ট্যাবলেট দাঁতের কোনো ক্ষতি করে না।

* ড্রাই মাউথ জেল : ড্রাই মাউথ জেল শুষ্ক মুখের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই জেল শুষ্ক মুখের ক্ষেত্রে লালা নিঃসরণে সাহায্য করে। তবে জিসি ফুজি ড্রাই মাউথ জেল সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)