কলারোয়ায় নিহত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সেঁজুতি হত্যার ছয় দিনেও কোন রহস্য উদঘাটন হয়নি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ
গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সাচিতা হোসেন সেঁজুতি
হত্যার ছয় দিনেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে
নিহতের স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন
পলাশ জানান, তার মেয়ে কলারোয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম
শ্রেণির ছাত্রী। তার মেয়ের সাথে প্রতিবেশি আলতাফ হোসেনের
ছেলে কলারোয়া সরকারি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র
আব্দুর রহমানের সাথে একবছর আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত ২৭ মার্চ স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় সেঁজুতি। পর
দিন গ্রামের একটি কুলবাগান সংলগ্ন ধান ক্ষেতের ড্রেনে দু’
হাত বাঁধা উপুড় করা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তাকে ২৭
মার্চ রাতে অন্যত্র শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ওই ড্রেনের উপর ফেলে
রাখা হয় মর্মে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। তবে লাশ উদ্ধারের ছয়
দিনেও পুলিশ হত্যার কোন ক্লু উদ্ধার করতে না পারায় তিনি অবাক
হয়েছেন। ছয় দিনে কোন আসামী গ্রেপ্তার না করতে পারায়
মামলার বাদি নিহতের মা লায়লা পারভিন পুলিশের উর্দ্ধতন
কর্মকর্তা, র‌্যাব, সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি
কামনা করেছেন।
কলারোয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সালেহা
খাতুন ও মাছুরা খাতুন জানায়, ২৭ মার্চ দুপুরে স্কুলে আসার পর
সেঁজুতিকে তারা দেখেছিলেন। অথচ তার লাশ উদ্ধার হওয়ার ছয়
দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন।এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার
উপপরিদর্শক মোঃ সোহরাব হোসেন শনিবার বিকেল পৌনে ৬টার
দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, ঘটনার ক্লু উদ্ধারে পুলিশ কাজ
করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত র‌্যাব জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের
প্রেমিক আব্দুর রহমানকে আটক করে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া তিনি
অঅবুি সাঈদ, বেল-াল হোসেন ও নিহতের পিতা সোহরাব
হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য
যাঁচাই বাছাই করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে
আসামীকে যে কোন সময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান
তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)