কালিগঞ্জে এতিম সন্তান ও বিধবা স্ত্রীর সম্পত্তি রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব  প্রতিনিধিঃ

প্রতারক গডফাদার চক্রের হাত থেকে সাতক্ষীরার
কালিগঞ্জের যুদ্ধপরাধী মামলার স্বাক্ষী কাজী আসাদুল ইসলামের এতিম সন্তান ও বিধবা স্ত্রীর পৈত্রিক ও কোবলাকৃত সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা ও
হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব
মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার
মৌতলা গ্রামের যুদ্ধপরাধী মামলার স্বাক্ষী মৃত কাজী আসাদুল ইসলামের পুত্র
ভুক্তভোগী কাজী আবু সাইদ সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মৌতলা গ্রামের মৃত কাজী
সিরাজুল হকের পুত্র ও বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাবর রোড়ে বসবাস
কারী নিজেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি
দাবী করা কাজী আজাহারুল ইসলাম ওরফে আখেরুল, শ্যামনগর উপজেলার
ঈশ^রীপুর গ্রামের আমজাদ মোড়ল এবং কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের
কাজী ইনামুল হোসেন আমার পিতার মৃত্যুর পরে তারা আমার পিতার পৈত্রিক
সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসছেন। উক্ত প্রতারক
চক্রের গড ফাদার কাজী আজাহারুল ইসলাম আমার ও আমার মাতার নামে
সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন
হয়রানিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে
আসছেন। উক্ত প্রতারক চক্রের গডফাদার নিজেকে যুদ্ধাপরাধী মামলার বাদী
পরিচয়ে পুলিশ প্রশাসন, পুলিশ প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ রাজনৈতিক
নেতাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের রয়েছে বলে প্রচার দেন। এমনকি তার
ছেলে সাথে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে বলেও আছে
প্রচার দেন। তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ইসাকুর মৌজায় আমার পিতার
কোবলাকৃত ও পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দীর্ঘ ৫০ বছরের ভোগদখলীয় ১.৫৫ শতাংশ
সম্পত্তি রয়েছে। উক্ত সম্পত্তিতে দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে ভুরুলিয়া
ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আনছার আলী প্রথমে আমার পিতার নিকট
থেকে ও পরবর্তীতে আমার ও আমার মাতার নিকট থেকে লীজ ডিড নিয়ে
মৎস্য হ্যাচারী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ
সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে শ্যামনগর থানা পুলিশের এ.এস.আই
প্রভাসের উপস্থিতিতে উক্ত প্রতারক চক্রের গড ফাদাররাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০
জন স্বসস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অনধিকার
প্রবেশ করে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অত্র সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করেন।
এতে আমার মাতা ও অমার স্ত্রী বাধা দিলে তারা আমার স্ত্রী ও মাতাকে গলা
চেপে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের ডাক
চিৎকারে স্থানীয় জনতা চলে আসলে সন্ত্রাসী বাহিনীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় প্রশাসন ও ওসি শ্যামনগর থানা বরাবর
আমার মাতা মাহফুজা পারভীন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত
অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানার এ.এস.আই মনিরুল তদন্ত করেন।
পরবর্তীতে গত ১৬মার্চ আমি বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশ প্রধানসহ
প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত প্রতারক চক্রের হাত থেকে পরিত্রান পাইবার জন্য
অভিযোগ করি। বর্তমানে তারা আমার পরিবার বর্গের হত্যা ও ভিটেছাড়াসহ
গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছেন। যা পুলিশ
প্রশাসনসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা গোপন ও প্রকাশ্য
তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পাবেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত
সন্ত্রসী চক্রের গডফাদার কাজী আজাহারুল ইসলামসহ তার দোসরদের কবল
থেকে তার ও তার পরিবার যাতে পরিত্রান পেতে পারে সে জন্য প্রশাসনের সকল
পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)