সাতক্ষীরার সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে র‌্যালি, সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

রঘুনাথ খাঁঃ

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বধ্যভূমিসহ জেলার সকল
বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। সোমবার বিকেলে ’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ
সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন তালা- কলারোয়া আসনের সাংসদ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স
পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্বলাহ। অন্যদের
মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার
মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান মশু, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সদর উপজেলা
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার শফিক আহম্মেদ, ’৭১ এর বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও
স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কমিটির সদস্য সচীব অ্যাড. ফাহিমুল
হক কিসলু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা
জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, বাসদ নেতা অ্যাড.
খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, বাসদ নেতা শেখ
আজাদ হোসেন বেলাল, জাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী,
ওবায়দুস সুলতার বাবলু, হেনরী সরদার, জ্যোস্না দত্ত,উদিচি
শিল্পগোষ্ঠীর সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাতক্ষীরা
শিশু হাসপাতালের পরিচালক মানি উজ্জামান খান, মকবুল হোসেন,
মুনসুর রহমান, মহসিন আলী, বায়েজিৎ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারতে শরনার্থী হিসেবে যেতে যাওয়া সাতক্ষীরা
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩৩৫ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে
দীূনেশ কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন ডোবাতে পাকসেনারা
নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। দীর্ঘদিনে আন্দোলন করেও
ওই বধ্যভূমি সংরক্ষিত হয়নি। এমনকি সেখানে তৈরি করা হয়নি
কোন স্মৃতিসৌধ। তালা করারোয়ায় সকল বধ্যভূমিতে
স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ চলছে উলে-খ করে বক্তারা বলেন,
আগামিতে দীনেশ কর্মকারের বাড়ির জমিতে থাকা বধ্যভূমিসহ জেলার সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেসব জায়গায় স্মৃতিসৌধ
নির্মাণের জন্য সাংসদ অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল-ার নেতৃত্বে
আন্দোলন সংগ্রাম অব্যহত রাখা হবে। তেব জেলা প্রশাসক মো”
হুমায়ুন কবীর আগামি ২৫ মার্চ দীনেশ কর্মকারের বাড়ি সংলগ্ন
বধ্যভূমিতে উপস্থিত থেকে স্মৃতিসৌধ নির্মানের ব্যাপারে তার
মতামত ব্যক্ত করবেন বলে জানানো হয়।
সভা শুরুতেই সভাপতির উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার পর ব্যঘ্রতট ও
গণশিল্পী সংস্থার পরিচালক নাসরিন খান লিপির নেতৃত্বে
মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় বধ্য ভূমিতে
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)