জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :

একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশা পাশি ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জননন্দিত গণমানুষের প্রিয় নেতা বারবার নির্বাচিত সাতক্ষীরা- ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “১৯৫২ সালে ভাষা শহিদগণ আমাদের মায়ের ভাষায় আমাদের চেতনা বা অস্থিত্ব জানান দেয়ার জন্যে অকাতরে প্রাণ দিয়ে গেছেন যেদিন। সেদিন থেকে আমরা তাদের কাছে চির ঋণি হয়ে আছি। ”বাংলা’’ আমার মায়ের ভাষা, আমার অহংকার, আমার গৌরব, মৃত্যুঞ্জয়ী ভাষা শহিদদের জানাই অবনত, অতল, বিনম্র শ্রদ্ধা। মহান একুশে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে শহিদদের স্মরণ করছে পুরো বাংলাদেশসহ সারা বিশ^। আমরা আজ মাথা উচু করে গর্ব করে বলতে পারি আমরাই পৃথিবীতে একটা জাতি যাদের আছে ”মায়ের ভাষা কে” বুকে ধারণ করার জন্যে, কথা বলবার অধিকার ছিনিয়ে আনার জন্যে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দেয়ার মত গৌরবময় ইতিহাস।

ভাষার এই মাসে আমাদের একটিই প্রত্যাশা- মানুষের সেই চেতনা বোধ জাগ্রত থাকুক। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রতিটি ব্যক্তি ও জাতিগোষ্ঠির মাতৃভাষার অধিকার হোক নিশ্চিত। সকল শিশু নিশ্চিন্তে কথা বলুক তার মায়ের ভাষায়- নিরাপদ থাক বর্ণমালা। আমি মনে করি, মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি’কে বুকে ধারণ করা একটা জাতির জন্যে খুব জরুরি, কারণ এটি তাদের স্বকীয়তা, এর মাধ্যমেই জন্ম নেয় দেশ এর প্রতি মমত্ব বা প্রেম। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ, তারই ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন রাষ্ট্রীয় সীমানার গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। বাঙালির ভাষার সংগ্রামের একুশ এখন বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে। এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়ই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ শে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। “অমর একুশের অবিনাশী চেতনা-ই আমাদের যুগিয়েছে স্বাধিকার, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস। “ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং এরই ধারাবাহিকতায় আসে বাঙালির চিরকাঙ্খিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।” একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনকালে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)