আগরদাঁড়ীতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমা শিল্পী রঞ্জন কুমার পালকে নগদ আর্থিক সহায়তা দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের পাল পাড়ায় রাতের আধারে ৪টি কালী প্রতিমা ও নির্মাণাধীন ৫০ টি সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর হওয়া স্থান ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমা শিল্পী রঞ্জন কুমার কুমার পালের খোঁজ-খবর নিলেন এবং নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের পাল পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমা শিল্পী রঞ্জন কুমার কুমার পালের কারখানায় যান এবং তার সাথে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ রঞ্জন কুমার কুমার পালকে আর্থিক সহায়তা দেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির নির্দেশনায় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ তার প্রতিনিধি দল আগরদাঁড়ীর পাল পাড়ার ঘটনাস্থলে যান এবং ক্ষতিগ্রস্থ মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে রঞ্জন কুমার পালের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দল। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী গ্রামে প্রতিমা শিল্পী রঞ্জন কুমার কুমার পালের কারখানায় সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতের কোন এক সময়ে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সহিংস ঘটনা জানতে পেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মহান জাতীয় সংসদে অধিবেশন থাকায় তিনি ঘটনাস্থলে যেতে না পারায় তার পক্ষে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। তিনি সাতক্ষীরায় এসে ক্ষতিগ্রস্থ আগরদাঁড়ি গ্রামের মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে ক্ষতিগ্রস্থ রঞ্জন কুমার পালকে আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করতে বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি, সাধারণ সম্পাদক তাপষ কুমার আচার্য্য, অসীম কুমার সোনা প্রমুখ। আগরদাঁড়ী গ্রামের মৃত পরমেশ্বর পালের ছেলে রঞ্জন কুমার পাল জানান, তিনি ৪২ বছর যাবৎ নিজের বাড়িতে প্রতিমা শিল্পীর কাজ করে আসছেন। উল্লেখ্য যে, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তিনি সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ করতে করতে বাড়িতে চলে যান। তার কারখানায় ৫০টি নির্মানাধীন সরস্বতী প্রতিমা ও মঙ্গলবার রাতে পুজার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতকৃত চারটি কালী প্রতিমা ছিল। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি কারখানায় যেয়ে ওই সব প্রতিমা ভাঙচুর করা অবস্থায় দেখতে পান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)