সাতক্ষীরায় কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি!

ইব্রাহিম খলিল:

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া ও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ করলেও সাতক্ষীরায় কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমন পরিস্থিতে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন নাগরিকদের। জানা যায়, করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে শুরু হয়েছে ১১ দফার বিধিনিষেধ।

বিধিনিষেধে বলা হয়েছে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরতে হবে, সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকবে। কেউ না মানলে তাঁকে জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের নিউ মার্কেট, খুলনা রোড মোড়, সুলতানপুর বড় বাজার, কাটিয়া টাউন বাজার, কদমতলা বাজার, পুরাতন সাতক্ষীরা বাজার, আমতলা জেলা শিক্ষা অফিসের সামনেসহ সব জায়গাতেই দিনের অধিকাংশ সময় মানুষের ভিড়।

ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে পাঠদান চলছে। শিক্ষার্থী, এমনকি শিক্ষক-কর্মচারীদের মুখেও নেই মাস্ক। নির্দেশনায় থাকলেও নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা। মাপা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা। সাতক্ষীরা শহরের ভ্যান চালক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা পরিশ্রম করি, তাই আমাদের করোনা হবে না। সরকার বলেছে মাস্ক পরতে, তাই সঙ্গে রেখেছি। আমরা দিন আনি দিন খাই। পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। বিধিনিষেধ মানার চেষ্টা করলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় ভুলে যাই। এ ছাড়া শিক্ষিত যাত্রীরাও মাস্ক পরেন না বলে জানান তিনি। সুলতানপুর কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসেন মো.জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ তো দুই বছর ধরে দেখছি, শুনছি। করোনা এই কমে তো এই বাড়ে। করোনা কবে যাবে তার ঠিক নেই। নিজে নিরাপদ থাকতে চাই। তবু হয় না, অনেক সময় অজান্তেই মাস্ক পরা হয় না।

সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন শাফায়াত বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যাঁরা টিকা নিয়েছেন, আর যারা এখনো নেননি, প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সর্বত্রে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশনার একটি বিধি। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। নতুন করে সাতক্ষীরায় ১১জন সনাক্ত হয়েছেন যার মধ্যে ৩জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এব্যপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনা প্রতি গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)