পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত তালার বাবলা বন

শেখ ইমরান হোসেন ::
পাখিরা প্রকৃতির সৌন্দর্য আর অলংকার। পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনতে কার না ভালো লাগে। নানা প্রজাতির পাখির বিচরণে বৈচিত্র আসে প্রকৃতিতে।

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের ধারে দেখা মেলে নানা প্রজাতির পাখির। তালা বাজারের খেয়াঘাট পার হলেই দেখা মেলে দু’পাশ দিয়ে বাবলা গাছ। তবে সামাজিক বনায়ন বা অড়ল বন নামেও বেশ পরিচিত।
এক পাশে কপোতাক্ষ নদ অন্য পাশে ফসলি জমি, খাল-বিল, ডোবার আশপাশে এসব পাখিরা ঘুরে বেড়ায়। নিরাপদ বাসস্থান আর খাবার সংকটে পাখি অনেকাংশে কমে গেলেও বাবলা বনে পাখিদের আনাগোনা চোখে পরার মতো।
দিনের শুরুতে সূর্যোদয়ের সঙ্গেই শুরু হয় পাখির কলতান। দুপুরের প্রখর রোদে পাখিরা লুকিয়ে থাকলেও আবার বেলা গড়িয়ে বিকেল নামতেই কিচিরমিচির ডাক শোনা যায়। উপজেলার ভ্রমণ পিপাসুরা প্রায় প্রতিদিনই এ বনে ঘুরতে গিয়ে পাখির বিচরণ আর কলকাকলিতে মুগ্ধ হন।

বনের দু’পাশে সবুজ গাছের সারি আর ঘন ঝোপঝাড় থাকায় এখানে পাখির সমাগম বেশি থাকে। পরিচিত পাখির সঙ্গে কালেভদ্রে এ বনের পাশে বিলুপ্ত প্রায় অনেক পাখিরও দেখা মেলে। দোয়েল, ফিঙ্গে, টুনটুনি, চুড়ুই সহ বিভিন্ন প্রজাতির বক, হলদেসহ নাম না জানা অনেক পাখি দেখা যায় এখানে।
নাগরিক কোলাহল ছেড়ে ঘুরতে আসা অনেকেই জানান, সুযোগ পেলে প্রায়ই বিকেলে ঘুরতে আসি। এখানে প্রকৃতির অনেক কাছে থেকে পাখির ডাক শুনি, সৌন্দর্য উপভোগ করি, ছবি তুলি। এই সামাজিক বনে এলে যত পাখি দেখা যায়, শহরের অন্য কোথাও এতো পাখি দেখা যায় না। অনেকেই এখানে আনন্দ বিনোদনের জন্য ঘুরতে আসে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিয়োজিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ ওয়াইল্ড লাইভ এর সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, এখানে ঘুরতে আসলে পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনে মন ভরে যায়। প্রকৃতিকে অনুভবের জন্য ও পাখিদের খবরাখবর নিতে প্রতিদিনই আসি। বাংলাদেশে অনেক পাখি বিলুপ্তির পথে। পাখি আমাদের জন্য খুবই উপকারি। জমির পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে। তালার সামাজিক বনায়ণ সহ সকল পাখিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আর পাখি শিকারীরা যেন পাখি শিকার না করে সেদিকে সকলের সচেতন হতে হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)