চাঁদে পরমাণু চুল্লি বসাবে নাসা, কমবে সূর্যের ভরসা
নিউজ ডেস্ক:
পরমাণু চুল্লি বসিয়ে চাঁদে প্রয়োজনীয় শক্তির ব্যবস্থা করতে চায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। এখনও চাঁদের শক্তি যোগাতে সূর্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে।
পরমাণু চুল্লি বসানোর জন্য নাসার প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েঠে ‘ফিশান সারফেস পাওয়ার প্রজেক্ট (এফএসপিপি)’। পৃথিবীতে পরমাণু চুল্লিটি বানিয়ে সেটিকে চাঁদে নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশযানে চাপিয়ে।
চাঁদে সেই পরমাণু চুল্লি এই দশকের শেষের দিকে বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। আমেরিকার শক্তি দফতরের অধীনে থাকা ‘আইড্যাহো ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি (আইএনএল)’ নাসার সঙ্গে কাজ করবে।
নাসা সূত্রের খবর, চাঁদে সফল হলে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশের শক্তির প্রয়োজন মেটাতে সূর্যের উপর নির্ভরতা ছেড়ে ‘লালগ্রহ’ মঙ্গলেও পরমাণু চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই পদ্ধতি পৃথিবীতেও পারমাণবিক শক্তির অসামরিক ব্যবহারের জন্য আগামী দিনে খুব জরুরি হয়ে উঠবে।
এরই মধ্যে পরমাণু চুল্লি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেই চুল্লি বানানোর জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে নাসা। যেমন, সেই চুল্লির ভেতরে জ্বালানি হিসেবে থাকবে ইউরেনিয়াম। সেই জ্বালানি যে শক্তি উৎপাদন করবে, তা বিদ্যুৎ-সহ নানা ধরনের শক্তিতে বদলে নেওয়া হবে বিভিন্ন প্রয়োজনে। সেই চুল্লিকে এতটাই দৃঢ় হতে হবে, যাতে চাঁদের রুক্ষ ও খুব ঠান্ডা পরিবেশেও তা টানা ১০ বছর ধরে অন্তত ৪০ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করে যেতে পারে।
পৃথিবী থেকে চাঁদে পাঠানোর পর সেই চুল্লিটিকে যেন এমন একটি সিলিন্ডারের মধ্যে বসানো যায় যার উচ্চতা ১৮ ফুট বা ৬ মিটার। ব্যাস ১২ ফুট বা ৪ মিটার। আর সেই চুল্লির ওজন ১৩ হাজার ২০০ পাউন্ড বা ৬ হাজার কিলোগ্রামের বেশি হলে চলবে না।