সুন্দরবনের অবৈধ কাঠ সহ ৩ টা নৌকা ও জেলে আটক করলেও মোটা অর্থের বিনিময়ে ২ টা নৌকা হাওয়া

আশিকুজ্জামান লিমনঃ

সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অবৈধভাবে গরাণ কাঠ কাটার অভিযোগে তিন জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ। সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত স্মার্ট পেট্টল টিমের সদস্যরা ।
৭ নভেম্বর ২০২১ বেলা ১১টার দিকে স্মার্ট পেট্টল টিমের দলপতি গলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোঃ মনিরুদ্দীনের নেতৃত্বে। অভিযানে সুন্দরবনে মাইটভাঙ্গা এলাকা থেকে ৩টা নৌকা সহ ৭ জেলেকে আটক করে ।
আটককৃত তিন জেলে – শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের ইসলাম গাজীর ছেলে হাফিজুর গাজী, কালিঞ্চী গ্রামের মকবুল হোসেন গাজীর ছেলে রাশিদুল গাজী ও সোরা গ্রামের সহর আলী মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা, পার্শেখালী গ্রামের সুজাউদ্দীন গাজীর পুত্র কওছার গাজী, কওছার গাজীর স্ত্রী তাছলিমা বেগম , মৃত মরালী গাইনের পুত্র জহুরুল গাইন, জহুরুল গাইনের পুত্র সাঈদ হোসেন ৷
তবে কাঁকড়ার আটল ৪০/৫০ ও ২ টা শতাধীক গরাণ কাঠের নৌকা আটক করলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একুই সময় আটক করা পার্শেখালী গ্রামের কাওছার গাজী,তাছলিমার ,জহুরুল গাইন,সাঈদ হোসেন ছেড়ে দেয় ।

আটকের পরিবার পক্ষ থেকে বিলাল হোসেন বলেন,সমিতির কিস্তি নিয়ে বৈধভাবে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশপার্মিট নিয়ে তারা সুন্দরবনে গিয়েছিল ৷ ফেরার পথে মাইটভাঙ্গা থেকে বনবিভাগের লোক জন ধরে নিয়ে আসে । এখন অসহায় পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে ৷ বিলাল আরো বলেন, কৈখালী ষ্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাসির হোসেন বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তা ৫০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে । টাকা না দিতে পারায় তাদের আটক করে রাখে।ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লান্টু বলেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ টা নৌকা ও রমজাননগর ইউনিয়নের ১ টা নৌকা আটক করলে, রমজাননগরের নৌকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তাদের কে আটক করে এবং মুন্সীগঞ্জের গরাণ কাঠ সহ ২ নৌকা ছেড়ে দেয়।

কৈখালী ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকা নাসির বলেন, একটা নৌকা সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ২ টায় নৌকার অবৈধ আটল থাকায় আটল গুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয় ও কাঠ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন টা কেটে দেন।

কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা হারুনা রশিদ বলেন, আমি ছুটিতে আছি ৷ তবে বিষয়টি নিয়ে স্যারের সাথে কথা বলছি ৷ আর বর্তমান আমার স্থানে যে নাসির সাহেব আছেন তিনি স্যারের কথা অনুযায়ী কাজ করেছেন ৷

সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এমএ হাসানকে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি৷

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)