আশাশুনি ১০ হাজার পরিবার আবারও বৃষ্টির পানিতে নাকানি চুপানি খাচ্ছে

জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি, কুল্যা ও দরগাহপুর ইউনিয়নের ১০ সহস্রাধিক পরিবার একটানা ৩ দিনের বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে নাকানি চুপানি খেতে শুরু করেছে। গাবতলা সুইস গেটের পাট মেরামত না করায় পয়ঃ নিস্কাশনের পরিবর্তে জোয়ারের পানি ভিতরে উঠতে থাকায় অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসের জলাবদ্ধতা ও পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার অভাবে উপরের পানির ঢলে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত, ৪/৫ হাজার ঘরবাড়ি, শত শত মৎস্য ঘের ও ১০ হাজার একর জমির মৎস্য ঘের, আমন ধান ও সবজি বাগান জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই অতিবৃষ্টির কবলে পড়ে এলাকাবাসী আবারও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কুল্যা, কাদাকাটি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের দোয়ারাবাদ, মাঝেরাবাদ, পুরারকারডাঙ্গী, কাদাকাটি কোল বিল, কুমোরঠেলা, দাশেরবাদ, বেগের চক, সরু সরদার চক, বাশতলা চক, গোরালী, মাঝেরাবাদ, হাজীর চক, খড়িরাবাদ, কামারাবাদ, চোরাডাঙ্গী, বাদলডাঙ্গী, করচারডাঙ্গী, ছাতিরাবাদ, শৈলমারী, ধাপুয়া, খরিয়াটি, ঝাউবুনি, মারসপড়া, কাহারাবাদ, আগরদাড়ি, দাদপুর, মহিষাডাঙ্গা, নেতাইর চক, খেজুরডাঙ্গা, বশিরাবাদ, হলদেপোতা, সোসাডাঙ্গা, করচাখালী, কলাতোলা, শেয়ারাবাদ, শেখের চক, কেওড়াতলা, নলিডাঙ্গিসহ অসংখ্য গ্রাম ও বিল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তালা উপজেলা, পাটকেলঘাটা থানা ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি প্রতিদিন বেতনা ও কপোতাক্ষ নদ দিয়ে এসব এলাকায় ঢুকছে এবং এলাকার বৃষ্টির পানির সাথে মিশে গোটা এলাকাকে নিমজ্জিত করতে শুরু করেছে। এসব পানি দাদপুর জলমহাল, কাদাকাটি বিল ফিসারিজ, পাপড়ি ও বুলু নদী দিয়ে হাজীরহাট ব্রীজের তলা দিয়ে হামকুড়া নদী দিয়ে এবং হলদেপোতা ব্রীজ হয়ে খেজুরডাঙ্গা ও হামকুড়া নদী যুক্ত হয়ে গাবতলা সুইস গেট দিয়ে বেতনা নদীতে গিয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু গাবতলা ¯øুইস গেটের দীর্ঘদিনের নষ্ট পাট ভেঙ্গে যওয়ায় পয়ঃ নিস্কাশনের পরিবর্তে নদীর পানি ভিতরে ঢোকায় এরাকাবাসীর মাথায় হাত উঠতে শুরু করেছে।

দ্রুত নতুন পাটের ব্যবস্থা না করা হলে কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার জলমগ্ন, ১০ হাজার একর জমির আমন ধান, মৎস্য ঘের ও সবজি ক্ষেত পুনরায় নিমজ্জিত হয়ে পড়লে এলাকার মানুষের দুঃখ দর্দশার অন্ত থাকবেনা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার দাশ জানান, গেটের ৩টি পাট দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। আমরা নিজেদের উদ্যোগে পুরনো পাট মেরামত করে কোন রকমে চালিয়ে আসছি। পাট পরিবর্তন করে নতুন পাটের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন। একটি পাট ভেঙ্গে ভিতরে পানি ঢুকছে। অন্য দু’টিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। আমরা সন্ধ্যায় গেটের ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখবো। তারপর কি করা যায় সেটি নিয়ে ভাববো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)