বাবার অমতে বিয়ে, মেয়ে-জামাইসহ ৭ জনকে পুড়িয়ে হত্যা

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বিয়ে নিয়ে ক্ষোভের জেরে জেরে দুই মেয়ে, এক জামাই ও চার নাতিকে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ওই দুই মেয়ের একজন তার বাবার অর্থাৎ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির মতের বাইরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন।

রোববার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মাজিদ টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, পাঞ্জাবের মুজাফফরগড় জেলার একটি গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মনজুর হোসাইন। হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই মেয়ের নাম ফৌজিয়া বিবি এবং খুরশিদ মাই। দুই বোন তাদের পরিবার নিয়ে ওই গ্রামের একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। আগুনে খুরশিদ মাইয়ের স্বামীও মারা গেছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, প্রায় ১৮ মাস আগে বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ভালোবেসে মেহবুব আহমেদকে বিয়ে করেন ফৌজিয়া বিবি। এরপর থেকেই মেয়ের ও বাবার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ফৌজিয়ার বাবা মনজুর হোসাইনও পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে বসবাস করতেন। তবে বাড়ির বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ফৌজিয়ার স্বামী মেহবুব আহমেদ। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, বাড়িতে আগুন লাগার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। খুব সকালে কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে আগুন দেখতে পান তিনি।

মেহবুব আহমেদ জানান, আগুনে পুড়ে ফৌজিয়ার পাশাপাশি তার চার মাস বয়সী ছেলে সন্তানও মারা গেছেন। এছাড়া ২, ৬ ও ১৩ বছর বয়সী খুরশিদ মাইয়ের তিন শিশু সন্তানও মারা গেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)