আশাশুনিতে মামলা চলমান থাকা জমিতে জোর পূর্বক ক্লিনিক নির্মানের অপচেষ্টা

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলায় স্বর্ত প্রচার মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তর্কিত জমিতে জোরপূর্বক ক্লিনিক নির্মানের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগি জমির মালিকপক্ষ।

লিখিত অভিযোগ ও মামলার কাগজপত্র সূত্রে জানাগেছে, বেউলা গ্রামের অমূল্য কৃষ্ণ হালদারের মৃত্যুনান্তে একমাত্র কন্যা কালিদাসী মুখার্জীকে রেখে যান। কালিদাসীর দু’পুত্র কার্ত্তিক মুখার্জী ও নিমাই মুখার্জী।

তাদের নানার সময় থেকে বলাইকুষ্ণ বিশ্বস্থ কর্মচারী হিসাবে তাদের জমাজমিসহ সার্বিক দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করতেন। সে হিসাবে তাকে ২৬/১১/১৯৪৫ তাং ৩০৮৬ নং দলিলে ৩৩ শতক জমি লিখে যান অমূল্য কৃষ্ণ হালদার। বাকী (এসএ ৮৫৩ খং, ৮৬০ দাগ) ৫.২৮ একর জমির ওয়ারেশসূত্রে মালিক হন কার্ত্তিক মুখার্জী দিং।

বংশ পরম্পরায় তারা সমুদয় জমির ভোগদখল ও ভিটেবাড়ি হিসাবে ব্যবহার ও বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বলাইয়ের নামে ভ্রমাত্বক ভাবে ৩৩ এর স্থলে ৬৬ শতক জমি রেকর্ড হয়। জানতে পেরে কার্ত্তিক মুখার্জী ও তার বিকৃত মস্তিস্ক ভ্রাতা নিমাইয়ের পক্ষে তিনি ৬/৯/২০ তাং স্বত্বপ্রচার মামলা (নং ৮১/২০) রুজু করেন। যা চলমান রয়েছে। অন্যদিকে বলাই কৃষ্ণ তার প্রাপ্য জমি না দিয়ে বিতর্কিত ৩৩ শতক জমি (৮/৬/৯৬ তাং ২৩২৭ নং দলিল) কেয়ামদ্দিন শেখের কাছে বিক্রয় করেন।

বাদী পক্ষ জানান, নৃত্য শিল্পী ও গবেষক মেহদী হাসান ও সুকুর ব্যানার্জীর কুপরামর্শ ও ঈন্ধনে কেয়ামদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পুত্র আকিমদ্দিন ও সালাম শেখ এই জমির মধ্যে ০৮ শতক জমি কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে হস্তান্তর করেন। ফলে জমিরদখলদার ও প্রকৃত মালিক পক্ষের সাথে সংঘাতের অবতারনার সৃষ্টির অপচেষ্টা চালান হতে থাকে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী ও আপত্তিকর পরিস্থির অবতারনার চেষ্টা করা হয়। এব্যাপারে ১০/১২/২০ তাং এ্যাডবোকেটের মাধ্যমে ১০/১২/২০ তাং সিভিল সার্জন বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করা হয়।

ইতিপূর্বে দায়রা জজ আদালত সাতক্ষীরায় কার্তিক চন্দ্র মুখার্জী বাদী হয়ে রাস্ট্রকে বিবাদী করে ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা (নং ৩৩৭/১৫) রুজু করলে বিজ্ঞ আদালত রিভিশনটি দোতরফা শুনানীঅন্তে মঞ্জুর করেন। এবং বিচারিক আদালত কর্তৃক প্রদত্ত — তর্কিত আদেশ রদরহিত করেন।

লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তি, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা এবং জমির দখল প্রকৃত মালিক কার্ত্তিক চন্দ্র দিং এর দখলে থাকার পরও প্রতিপক্ষ ক্লিনিক স্থাপনের অপচেষ্টা চালিয়ে আইনগত ভাবে ব্যর্থ হয়ে কার্তিক চন্দ্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা, অমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ এনে সংবাদ প্রচারসহ নানা সম্মানহানিকর কাজ করে চলেছে। এব্যাপারে কার্তিক চন্দ্র’র পরিবার প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজ্ঞ আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এব্যাপারে বিবাদী সুকুমার ব্যারার্জীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি জানান, এসএ রেকর্ড আমাদের নামে, প্রিন্ট পর্চা আকিমদ্দিন দিং নামে হযেছে। কার্তিক চন্দ্রের স্বর্তপ্রচার মামলা চলমান আছে। আমরা ৮১/২০২০ মামলা করলে আদালত যে যেভাবে আছে সেভাবে থাকার নির্দেশ দেয় ও মামলা চলমান আছে। জমিতে ক্লিনিক নির্মান কাজ হয়নি, সেখানে কোন গোলযোগ হওয়ার খবরও আমার জানানেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)