সাতক্ষীরার ২১ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে ভোটের তোড়জোড়, কঠোর অবস্থানে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনের পুনঃরায় তফশিল ঘোষনার পর আবারও সাতক্ষীরার গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে নির্বাচনী তোড়জোড়। মাঠে নেমে পড়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। প্রথম ধাপের স্থগিত হওয়া এ ইউপি নির্বাচনে সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ
অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। তবে কোন কোন
ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের কঠোর অবস্থান থাকবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, তেঁতুলিয়া, ইসলামকাটি, খলিষখালি, তালা সদর, খলিলনগর, মাগুরা, খেশরা ও জালালপুর ইউনিয়ন। কলারোয়া উপজেলার কয়লা, হেলাতলা, যুগীখালী, জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর ও দেয়াড়া ইউনিয়নে
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলার ২১ টি ইউনিয়নের মধ্যে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ও তালা উপজেলার তালা সদর, খলিলনগর ও তেঁতুলিয়া এই চারটি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ইউনিয়নে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

তালা উপজেলার খলিষখালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় উৎসব মুখুর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, সর্বাত্নক প্রস্তুতিও রয়েছে।

নৌকার পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। আমরা চাই সুষ্ঠ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হোক।

তালা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী এস.এম নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে টাকা উত্তোলন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়, থানার এস.আইকে মারপিট, চেয়ারম্যানের এক ভাইয়ের দ্বারা তালা থানার মহিলা পুলিশ কন্সটেবল ও তার স্বামীকে মারপিট, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তার আরেক ভাই সরদার মশিয়ার কর্তৃক ইউনিয়নের মধ্যে লুৎফর নিকারীকে হত্যাসহ নানা কারণে নৌকার প্রার্থী এখন জনবিচ্ছিন্ন। তিনি বলেন, আমি ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান থাকাকালে তালা সদর ইউনিয়নে দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছি। সেকারণে আমি মনে
করি দলমত নির্বিশেষে তালা ইউনিয়নের মানুষ ভোট দিয়ে লাঙ্গল প্রতিককে জয়যুক্ত করবে। আমি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল কবীর জানান, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে। ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি
আগেই ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই দফায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে সাতক্ষীরার দুটি উপজেলায় ২১টি ইউনিয়নে ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের
দিনক্ষণ ঘোষনার পর পুনঃরায় ভোটগ্রহণের প্রস্তুতির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। কোন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে, আইনের
ব্যতয় ঘটালে বা চেষ্টা করলে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কোন রকম উস্কানি ও হয়রানিমূলক কাজ করার চেষ্টা করলে সেটির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)