শ্যামনগরে মৎস্য প্রকল্পের গেট ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ

আশিকুজ্জামান লিমনঃ
প্রায় চার দশক পুরানো একটি চিংড়ি প্রকল্পের পানি নিস্কাশনের কাজে ব্যবহৃত ফ্লাশিং গেট ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার বেলা একটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি পল্লীতে। পুর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় আব্দুল গফুর ও আব্দুল মাজেদের নেতৃত্ব প্রতিপক্ষের ১৪/১৫ জন একযোগে ঐ মৎস্য প্রকল্পে হামলা চালিয়ে এমন কান্ড ঘটায়। এসময় হামলাকারীরা চিংড়ি প্রকল্পের ফ্লাশিং গেট ভাংচুরের পাশাপাশি ৮০ বিধা আয়তনের ঐ চিংড়ি ঘেরে লুটপাট চালায়। যদিও অভিযুক্ত পক্ষের দাবি তারা শুধু গেট ভাঙচুর করলেও কোন লুটতরাজ চালায়নি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত চার দশক ধরে ভেটখালী গ্রামের নুর আলমের ছেলে সাহাবুদ্দীন আহমদে বাবু কালিঞ্চি গ্রামের পৈত্রিক জমিতে চিংড়ি চাষ করে আসছে। একতা ফিস নামীয় ঐ চিংড়ি ঘেরের মালিকের সহায়তা নিয়ে প্রকল্পের পাশে প্রায় দুই দশক পুর্বে স্থানীয়রা একটি মসজিদ ও কবরস্থান গড়ে তোলে।
সুত্র মতে সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে এলাকার অপরাপর চিংড়ি ঘেরের ন্যায় একতা ফিস নামীয় মৎস্য প্রকল্পও তলিয়ে যায়। এসময় অতিবৃষ্টির পানি রাস্তা ছাপিয়ে মসজিদ চত্ত¡রসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় একটি পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে ঐ মৎস্য প্রকল্পে হামলা করে ভাংচুরের ঘটনায় ঘটায়।
ক্ষতিগ্রস্থ প্রকল্প মালিক সাহাবুদ্দীন আহমদ বাবু অভিযোগ করেন, আব্দুল গফুর ও আব্দুল মাজেদসহ তাদের লোকজন বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দাবি করে আসছিল। সম্প্রতি তাদের কিছু দাবি-দাওয়া মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর জেরে শুক্রবার তারা চার দশক পুরানো মৎস্য প্রকল্পের গেট ভাংচুরের পর তা মাটি চাপা দিয়ে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এসময় হামলার সাথে জড়িতরা ৮০ বিঘা আয়তনের ঐ চিংড়ি ঘেরে ব্যাপক লুটপাট করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি অঅরও অভিযোগ করেন আব্দুল মাজেদ, আব্দুল গফুর, আলম ছাড়াও কেরামত আলী, আলম, মেহেদী বাবু, মিজানুর রহমান মিজান, মহসীন আলী, আব্দুল আলিম বাবু, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ আলী, সামছুর রহমান, আব্দুর রহিম, আছাদুর রহমান ও শহীদ গাজী সরাসরি লাঠিশোটা নিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে হামলার নেতৃত্বদানকারী আব্দুল গফুর প্রতিবেদককে জানান, এসি ল্যান্ড সাহেবের নির্দেশে আলমের নেতৃত্বে লোকজন এসব ভাংচুর করেছে। তবে কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
যদিও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, চিংড়ি ঘেরে হামলাসহ গেট ভাংচুরের ঘটনায় তিনি কিছু জানেন না। তার নির্দেশে কোন কিছু ঘটলে তার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা।#
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)